কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : স্বামীর সংসারে থেকে ঈদ করা হলো না লাকি আক্তার নামের এক গৃহবধূর । স্বামীর যৌতুকের চাহিদা মেটাতে না পারায় মাথায় ধারালো দায়ের আঘাতে আহত হয়ে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছে। এমন ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় রংছাতি ইউনিয়নের ওমরগাঁও গ্রামে। আহত গৃহবধূ চিকিৎসাধীন আছেন কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
শনিবার (০১ আগষ্ট) বিকালে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।
যৌতুক লোভী স্বামী এমদাদুল হক, শ্বশুর -শাশুড়িরসহ পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে নির্যাতিতা গৃহবধূ লাকী আক্তার কলমাকান্দা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ ও পারিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২ বছর আগে পারিবারিকভাবে উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের ওমরগাঁও গ্রামের মো. ওয়াফিজ উদ্দিনের ছেলে এমদাদুল হকের সঙ্গে একই ইউনিয়নের রংছাতি গ্রামের ইসহাক মিয়া’র মেয়ে মোছা. লাকী আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে তাদের কোন সন্তান নেই । বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য নির্যাতিত হয়ে স্ত্রী লাকী আক্তার প্রায় সময় তার পিত্রালয় থাকতেন।
স্বামী এমদাদুল স্ত্রী’র কোন খোঁজ-খবর নেননি। উল্টো লাকী পরিবারের কাছে আরো ২ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে চাঁপ প্রয়োগ করে আসছে। স্বামীর চাহিদার যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে শনিবার সকালে স্বামীর বসতঘরে এমদাদুল হক তার ওপর শারিরীক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে লাকি আক্তারের মাথায় ধারালো দা দিয়ে আঘাত করে। এতে সে গুরুতর আহত হন। পরে ওই গৃহবধূর বাবা ইসহাক মিয়া খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আহত অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করে কলমাকান্দা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে লাকী আক্তারের স্বামী এমদাদুল হকের সঙ্গে মুঠোফোনে চাইলে তিনি ২ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবির কথা অস্বীকার করে বলেন তাকে মারপিট করেছি এটা সত্য।
এবিষয়ে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল করিম জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।