মোঃ নজরুল ইসলাম ও আরাফাত হোসেন তালুকদারঃ নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা সদর ইউনিয়নের পূর্বধলা বাজারের জামতলা,রেল স্টেশন রোড, থানারোড সহ সবকটি রাস্তায় বড় বড় গর্ত তৈরী হয়ে কাদামাটি ও পানি দিয়ে লেপ্টে একাকার হয়ে যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
এ রাস্তাগুলো দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ, অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। পূর্বধলা সদরের প্রধান রাস্তা (নেত্রকোনা টু পূর্বধলা) থানা থেকে ১০০ গজ পূর্বদিকে রাস্তাটি ঢেবে গিয়ে বিশাল গর্তের তৈরী হয়েছে। এখানে যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় কোন ধরনের দূর্ঘটনা। আর যানজটের কারনে জনগনের চলাচলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাই রাস্তাগুলোর দ্রুত সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানান স্থানীয় ব্যবসায়ী, জনগন ও পথচারীরা।
উল্লেখ্য যে এমতাবস্থায় পূর্বধলা বাজার রেলগেইট থেকে রেলস্টেশন বাজার যাওয়ার রাস্তাটিতে হরহামেশাই যানযট লেগেই থাকে।এ ব্যাপারে ৫–৭-২০২০ইং রবিবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে বাজারের যানযট নিরসনের লক্ষ্যে প্রতিদিন সকাল ৮ ঘটিকা থেকে রাত ৮ ঘটিকা পর্যন্ত সকল প্রকার যানবাহন লোডিং আনলোডিং নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে। এবং রিক্সা, ভ্যান, ঠ্যালাগাড়ী যত্রতত্র দাড় করিয়ে রাখা যাবেনা। লক্ষনীয় বিষয় হচ্ছে প্রশাসন ও জনসাধারণের মাঝে এ আইন কতটুকু বলবৎ থাকবে তা সময়ই বলে দিবে বলে মনে করেন সাধারন জনগন।
আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আজ প্রায় ১৫ বছর তবুও পূর্বধলা উপজেলার ভিতর ১ টি ও স্বয়ংসম্পূর্ণ রাস্তা নেই! পুরো উপজেলার সকল ইউনিয়নের রাস্তার অবস্থা খুবই নাজেহাল যা পূর্বধলাবাসীর জন্য খুবই লজ্জাজনক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রবীন আওয়ামী নেতা বলেন, কি আর বলবো বাবা এখনের রাজনীতিবিদরা দেশের চিন্তা করে না, দেশের জনগনের চিন্তা করে না শুধু নিজের চিন্তা করে।
রাস্তার দূরাবস্থার ব্যাপারে পূর্বধলার এমপি ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল (বীরপ্রতীক) ফোনালাপে পূর্বময় ডটকমকে বলেন, আমি সব বিষয়ে জানি ব্যবস্থা নিচ্ছি বলে ফোন কেটে দেন।