কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : শুটকি ব্যবসায়ি সহোদর দুই ভাইকে পথরোধ করে মারধরে রক্তাক্ত জখম ও টাকা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় অভিযোগ দায়েরের পর থেকে সোমবার (২২ জুন) দুপুর পর্যন্ত পাঁচ দিন হয়ে গেলেও অভিযোগটি থানায় রেকর্ডভূক্ত (এফআইআর) হয়নি বলে জানা গেছে।
এমন দাবি করে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের চারিয়া মাসকান্দা পূর্বপাড়া গ্রামের অভিযোগকারী দুলাল মিয়া সাংবাদকিদের বলেন, ঘটনার আগে দুর্গাপুর থানায় চলতি বছরের মে মাসের সাত তারিখ তাদের বিরুদ্ধে জিডি করা হয়েছিল। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার সাতাশি বাজারে শমসের মড়লের পুকুরের পূর্বপাশে আমার ছোট দুই ভাই মো. কুদ্রত আলী (২৮) ও সাইদুল ইসলামকে (৪৮) গতিরোধ করে।
পরে গতিরোধকারীরা তাদের মারধর, রক্তাক্ত জখম সহ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। গুরুতর আহত দুই ভাই বর্তমানে দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে। এ ঘটনার পর ওই দিন রাতে আমি নিজে বাদি হয়ে দুর্গাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি বলে তিনি জানান
এ অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা দুর্গাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান সোমবার দুপুরে মুঠোফোনে পূর্বময়কে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার শতভাগ সত্যতা পেয়েছি। অসুস্থ থাকায় অভিযোগটি রেকর্ডভূক্ত করতে বিলম্বিত হয়েছে। আরও তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান এ ঘটনায় অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত চলমান রয়েছে। অবশ্যই এ ঘটনার সাথে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
দুর্গাপুর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) শারমিন নেলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পূর্বময়কে বলেন, দুই দিন ছুটিতে থাকায় বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।
উল্লেখ্য, শুটকী ব্যবসায়ী কুদ্রত আলী ও সাইদুল ইসলাম সহোদর দুই ভাই ব্যবসার কাজে ঘটনার দিন সকালে পার্শ্ববতী উপজেলা কলকাকান্দার নাজিরপুর বাজারে যাওয়ার পথে সাতাশি বাজারের পূর্ব পাশে আসামাত্র চারিয়া মাসকান্দা পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত ফজু মড়লের পুত্রদ্বয় আতাউর রহমান, মো. আব্দুর রাশিদ একই গ্রামের ইসহাক আলীর ছেলে মো. ইসব আলী, শাহিন মিয়া, আবু সিদ্দিক পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রামদা দিয়ে কুদ্রত আলীর মাথায় কুপ দেয়।
পাশে থাকা অপর ভাই সাইদুল ইসলামকে এলোপাতারী মারধর করে তার সাথে থাকা তিন লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তাঁদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারীরা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগের বিবরন থেকে এসসব তথ্য জানা যায়।