কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : স্কুলজীবনের প্রতিটি পরীক্ষাতেই বাবার হাত ধরে যেত নাদিয়া। কিন্তু বিধির অমোঘ বিধানে বাবার লাশ বাড়িতে রেখেই গত এসএসসি পরীক্ষা কলমাকান্দা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে যেতে হয়েছিল নাদিয়া সুলতানাকে। পরীক্ষার হলে গিয়ে ছাত্রীটি বাম হাতে চোখ মুছে আর ডান হাতে কলম ধরে। এভাবেই বাবার লাশ বাড়িতে রেখে পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়েছে নাদিয়াকে।
সেই নাদিয়া এবার এসএসসি পরীক্ষায় মানবিক শাখায় জিপিএ ৩.০০ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। এমনই তথ্য জানিয়েছেন নেত্রকোনার কলমকান্দা উপজেলার রংছাতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলাম।
কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের চৈতা গ্রামের নাদিয়ার পিতা মো. আব্দুল কাদির (৪৫)। তিনি ৬ ফেব্রুয়ারী (বৃহস্পতিবার) ভোর রাতে মারা যান। সকালে বাবার লাশ বাড়িতে রেখেই মামা ও সহপাঠীদের সাথে ইংরেজি প্রথম পত্র পরীক্ষা দিতে যায় নাদিয়া। পরীক্ষার হল থেকে ফেরার পর ওই দিন বিকেলে আব্দুল কাদিরের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে শায়িত করা হয়। মৃত্যুর শোক নিয়ে বাকি পরীক্ষাগুলোতে অংশগ্রহণ করে বাবা হারা এই ছাত্রী।