কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন, নেত্রকোনা প্রতিনিধি :
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলায় সংসদের ব্যক্তিগত মিটিংয়ের গোপনে ভিডিও করার সময় খাইরুল কবির নামে এক ব্যক্তিকে হাতেনাতে আটক করেছে মিটিংয়ে থাকা নেতাকর্মীরা। খাইরুল কবির উপজেলার রামজীবনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলে জানা গেছে।
রবিবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে মারমুখী হয়ে উঠলে উপস্থিত সিনিয়র নেতারা তাকে রক্ষা করেন।
এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এমদাদুল ইসলাম খোকন জানায়, নেত্রকোনা-৪ আসনের সাংসদ রেবেকা মমিন তার নিজ বাড়ি মোহনগঞ্জের কাজিহাটিতে নেতাকর্মীদের সাথে ব্যক্তিগত মিটিং করছিলেন।
মিটিংয়ের পুরোটাই গোপনে ভিডিও ধারন করছিলেন খাইরুল কবির। এক পর্যায়ে তার আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে নেতাকর্মীরা তার মোবাইল ফোনটি চেক করতে চায়। প্রথমে রাজি হননি তিনি, সেটের লক খোলা যায় না বলে উল্টো বিভিন্ন বাহানা দেন। অবশেষে তাকে আটক করে মোবাইল ফোনে মিটিংয়ের ভিডিও দেখতে পাওয়া যায়। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।
অভিযুক্ত শিক্ষক খাইরুল কবির জানায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সমাজ-সহিলদেও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম সোহেল এর ঘনিষ্টজন আওয়ামী লীগ নেতা ফজলু মিয়ার কথায় তিনি এই মিটিংটি ভিডিও করতে আসেন। তিনি বলেন, ‘ফজলু আমাকে বলে যাও ওখানে কি কি কথবার্তা হয় জেনে আসো। তাই আমি খবর নিতে এখানে আসি। ফজলু সোহেল চেয়ারম্যানের গ্রুফ করে।’
এব্যাপারে মোহনগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান জানান, একজন শিক্ষককে আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পায়নি। আপাতত শিক্ষক থানায় আছে, জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মোহনগঞ্জে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন ইস্যুতে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। সভাপতি লতিফুর রহমান রতনের নেতৃত্বে এক গ্রুপ এবং সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদ ইকবালের নেতৃত্বে আরেকটি গ্রুপ তৈরি হয়। এতে দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী শহীদ ইকবালের পক্ষে অবস্থান নেয়। নেতাকর্মীদের ধারণা অপর গ্রুপের হয়ে ওই শিক্ষক গোয়েন্দাগিরি করেতে এসেছিল। কারণ চেয়ারম্যান সোহেল সভাপতি লতিফুর রহমান রতনের ভাগ্নে ও তার গ্রুপের লোক।