নকলা প্রতিনিধি ঃ শেরপুরের নকলায় গত ২৩ মে বৃহষ্পতিবার সকালে মজিদ বাড়ীতে ডুকে অতর্কিত হামলা করে রামদা দিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করেছে ০৪ জনকে। বাড়ী ঘরে ইট নিক্ষেপ এবং শাবল ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে প্রায় লাখ খানেক টাকার ক্ষতি করেছে। এলাকাবাসীর মতে ২২ মে বুধবার বিকালে জাডু মিয়া (৪৫) তার নিজের ঝাড়ের বাঁশ কাঁটতে গেলে পাশ্ববর্তী কয়েক জন দুর্বৃত্ত এসে বাধা দিলে একটু কথা কাটাকাটি হয় দু-পক্ষেই। এরই জের ধরে পর দিন সকালে ৮টার দিকে অতর্কিত হামলা করে, ১। মনসুর আলী(৪০), পিতা-আঃ কুদ্দুছ ২। মকবুল হোসেন(৩৮), পিতা আঃ কুদ্দুছ, ৩। হাসমত আলী(৩৫), পিতা-আবুল হোসেন, ৪। খাদিজা আক্তার(৮), পিতা খুরশেদ আলী এই মোট ০৪ জনকে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করা সহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে দুবৃত্তরা। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৩ মে বৃহষ্পতিবার জাডু মিয়া (৪৫), পিতা-মৃত আবুল হোসেন, সাং মজিদবাড়ী, থানা-নকলা, জেলা-শেরপুর, বাদী হয়ে ০৭জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন নকলা থানায়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিয়মিত মামলা রুজু করেন, নকলা থানা এসআই ওমর ফারুক। ২৮ মে মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে এসআই ওমর ফারুকের সাথে ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ওই মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। সঠিক তদন্ত করে আমরা রিপোর্ট পেশ করবো আদালতে। এর আগেও গত ৩০ মার্চ শনিবার একই এলাকার একই দলভুক্ত আসামি জাডু মিয়ার জমি দখল করতে এসে বিরোধ লাগিয়ে প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে। সেই মামলাতে ১৬জনকে আসামি করা হয়েছিলো। তৎকালীন বিএনপি সরকারের আমলেও জমি সংক্রান্ত বিরোধ লাগিয়ে মজিদবাড়ীর বাসিন্দা জিকির আলী কে রাস্তায় কুপিয়ে খুন করেন ওই একই পরিবারের দুর্বৃত্তরা তখনো মামলা হয়েছিলো, কিন্তু খুন হওয়ার পরেও কোন ন্যায় বিচার পায়নি মজিদবাড়ীর সদস্যরা। জাডু মিয়া আরো বলেন,আমরা থানায় বা আদালতে মামলা করেও কোন সুবিধা পাচ্ছি না, মামলা করলে নেতারা টাকা খাইয়া আমাদের মামলা অচল করে দেয়।
এখনো আসামিরা প্রতিনিয়তই মদিজবাড়ীর সদস্যদের খুন করার হুমকি দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী জাডু মিয়া।