পূর্বধলায় বাণিজ্য মেলা ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা

মো: এমদাদুল ইসলামঃ-
নেত্রকোনার পূর্বধলায় যুগের পর যুগ ধরে আনন্দ, বিনোদন থেকে বঞ্চিত এলাকা বাসি। দীর্ঘদিন পর পূর্বধলা প্রেসক্লাব উপজেলায় কর্মরত সকল সাংবাদিকদের সমন্বয়ে বাণিজ্য মেলা করার উদ্যোগ নেয়। সে অনুযায়ী জেলা প্রশাসকের ২১ শর্তের মাধ্যমে ৮মার্চ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত পূর্বধলা উপজেলার হেলিপ্যাড মাঠে বাণিজ্য মেলা করার জন্যে জেলাপ্রশাসক অনুমোদন প্রদান করেন। সব মিলিয়ে ১২মার্চ মেলাটি মোটামুটি উদ্বোধন করা হলেও সবকিছু তখনও গোছানো হয়নি। পূর্বধলা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে মেলার মূল দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছিল সবুজ বাংলা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সংগঠন এর স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীনকে শর্ত অনুযায়ী প্রাথমিক পর্যায়ে স্টল, জাদু, ট্রেন, নৌকা,চালানো, নাগরদোলা ও বিমানে চড়া ইত্যাদি দিয়ে শুরু করেছিল আর ততক্ষণে অন্য ক্ষুদ্র কুটির শিল্প ব্যবসায়ীরা আসতে শুরু করেছে। এমন অবস্থায় স্থানীয় নিউজ পোর্টাল বেশ কয়টি শর্ত ভঙ্গের অভিযোগ এনে রিপোর্ট প্রকাশ করে। রিপোর্ট প্রকাশের পর উপজেলা প্রশাসন কোন যাচাই-বাছাই না করেই ১৫ মার্চ মেলা বন্ধের নির্দেশ দেন। বিষয়টি জেনে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মেলায় বিনোদন চলাকালিন কোন প্রকার অশ্লীলতা হয়নি বলে দাবী উঠে মেলা আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে। শিশু থেকে শুরু করে বড়দের উপযোগী বিনোদন চলছিল। কেনাকাটার ধুম, আনন্দ উল্লাসে ছিল শতভাগ আনন্দ। দু-একজন হিংসাত্মক মনোভাব নিয়ে মেলাটিকে বন্ধ করার পায়তারা আগে থেকেই করে আসছিল।এই হিংসাত্মক মনোভাব এবং চিন্তা চেতনার সাথে সংগতি প্রকাশ করে কেনই বা মেলাটিকে বন্ধ করে দিল। স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি বাণিজ্য মেলাটি শর্ত ভঙ্গের যে অভিযোগ এসেছে সেটি পুনরায়, আরও অধিকতর যাচাই-বাছাই করে মেলা পুনরায় চালু করার জন্য নির্দেশ প্রদান করলে কোমলমতি শিশু ও সাধারণ মানুষ উৎসাহিত বোধ করবে। মেলা মানেই নতুনের সন্ধানে বিনোদনের আনন্দে উদ্ভাসিত হওয়া।এই এলাকায় এ ধরনের খেলনার সরঞ্জামাদি আর কখনো আসেনি কোমলমতি শিশু যারা দীর্ঘদিন আনন্দ থেকে বঞ্চিত তাদেরকে কেন বঞ্চিত করা হলো বিষয়টি ভাবনার বিষয়, দেখবার বিষয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স বলেন জেলা প্রশাসকের আদেশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে আমি বন্ধ করিনি।