কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় ১০ শ্রেণি পড়ূয়া এক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে (১৬) শ্লীলতাহানির অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর বড় বোন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
শনিবার (৪ মার্চ) মামলা তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেবশীষ চন্দ্র দত্ত সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এরআগে দায়ের অভিযোগটি গত বুধবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হিসেবে রেকর্ডভুক্ত করা হয়।
এ মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, আতিক ভ্ইুয়ার দুই ছেলে ছেলে মো. শাহিন আলম (১৯) ও সুজন ভুইয়া (২৫) এবং মৃত মুর্তুজ আলীর দুই ছেলে জিয়াউর রহমান (৩৭) ও মোস্তাফিজুর রহমান (৪৫)। তারা সকলে উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের রায়পুর বুটবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযোগ সূত্রে, ভুক্তভোগী ওই কিশোরী স্থানীয় একটি দাখিল মাদরাসার ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। মো. শাহিন আলম প্রায় সময় ভুক্তভোগীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় মাদরাসায় আসা যাওয়ার সময় ভুক্তভোগীকে অশালীন কথাবার্তাসহ উত্যাক্ত করতো সে।
চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারী বিকেলে ভুক্তভোগী কেনাকাটার জন্য মাসকা বাজারে আসেন। কেনাকাটা শেষে ভুক্তভোগী অটো রিকশাযোগে বাড়িতে ফেরার পথে অভিযুক্ত মো. শাহিন আলম পথরোধ করে অটো রিকশায় উঠে পড়ে পূর্বের ন্যায় কুপ্রস্তাব দেয়। অটো রিকশাটি কেন্দুয়া-আঠারবাড়ি রাস্তার ধুপিচান্দালী জামে মসজিদের সামনে আসলে ভুক্তভোগীর হাত ধরে অটো রিকশা থেকে নামিয়ে ফেলেন এবং শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন শাহীন আলম। পরে ভুক্তভোগীর ডাক চিৎকারে দৌঁড়ে পালিয়ে যান অভিযুক্ত।
ভুক্তভোগী বিষয়টি বাড়িতে জানালে তার পরিবারের লোকজন অভিযুক্তদের বাড়িতে আসেন। অভিযুক্ত পরিবরের সুজন ভুইয়া, জিয়াউর রহমান ও মোস্তাফিজুর রহমানকে বিষয়টি অবগত করে বিচার প্রার্থনা করেন। অভিযুক্তের পরিবারের লোকজন উল্টো ভুক্তভোগীর পরিবারের লোকজনদেরকে গালিগালাজ সহ বিষয়টি সমাজের বলাবলি ও আইনের আশ্রয় নিলে খুন ও জখমের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে বলে দায়ের করা অভিযোগ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই দেবশীষ চন্দ্র দত্ত বলেন, অভিযুক্তরা এলাকায় উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির লোক। মামলা দায়েরে পর থেকে তারা পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।