মোঃ নজরুল ইসলামঃ
নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার জারিয়া ইউনিয়নের গোজাখালিকান্দা গ্রামের সমেশ আলীর মেজো ছেলে জসিম উদ্দিন ছোট বেলা থেকেই ডানপিটে।
কিশোর বালক জসিম উদ্দিন বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারন করে পুষে রাখতো সযতনে। তাই সবার কাছে ও স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে জসিম ছিল একটি পরিচিত নাম।
গত ১৩.২.২০২৩ ইং তারিখ
ভার্চুয়াল জগৎ গণমাধ্যমে ফেসবুক লাইভে শ্রমিক নেতা জসিম উদ্দিন এর হৃদয় স্পর্শী অশ্রুসিক্ত চোখে ভিডিও দেখে ঠিক থাকতে পারছিলাম না। তিনি তুলে ধরেন তার রাজনীতিক জীবনের কাহিনী।
উল্লেখ করেন তার রাজনৈতিক জীবনের কত কথা। সরকার দল ক্ষমতায় অথচ বিরোধী দলের মতোই সময় কাটাচ্ছেন এই মানবিক শ্রমিক নেতা জসীম উদ্দীন। জসিম বলেন ছেড়ে দিবেন রাজনীতি,,
তারই ধারাবাহিকতায় ভিডিও লাইভ দেখার পর একজন গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে আমি স্বর জমিন তদন্তে সত্য উন্মোচনের লক্ষ্যে তার নিজ গ্রামের বাড়িতে খোঁজ খবর নিতে যাই সেখানে খোঁজ নিয়ে দেখতে পাই
একাধিক মানবিক সংগঠন এবং জাতীয় শ্রমিক লীগের সাথে সংযুক্ত হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন নিরলস ভাবে এই শ্রমিক লীগ নেতা জসিম উদ্দিন।
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাবেক যুব শ্রমিক লীগ নেত্রকোণা জেলা শাখা ও সদস্য সচিব জাতীয় শ্রমিক লীগ নেত্রকোণা জেলা শাখা প্রস্তাবিত কমিটি, তিনি জাতীয় সকল প্রোগ্রাম করেন পরিশ্রমের সাথে।
অথচ অসৎ পয়সা উপার্জনের দিকে হাত বাড়াননি তিনি। চাঁদাবাজি মুক্ত রাজনীতিতে হাস্যউজ্জ্বল ভূমিকা রেখে জননেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে সাড়া দিয়ে রাজনৈতিক মাঠে কাজ করে চলছেন দিনরাত। সংসার পরিবার পরিজনকে উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবীত হয়ে রাজনীতিকে নিয়েছেন নেশা হিসাবে। জসিম উদ্দিন নিঃস্ব সহায় সম্বলহীন একজন মানুষ নিজের বলতে নেই
এক শতাংশ জমি, নেই কোন ব্যাংক ব্যালেন্স।
এই শ্রমিক নেতার একটি ঘর সেই ঘরটিও অন্যের জায়গায়,
সর জমিনের তদন্ত সূত্রে জানা যায় পূর্বধলার স্থানীয় যুবলীগ নেতা ও ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষক লীগের সহ-সভাপতি জনাব মাজহারুল ইসলাম সোহেল নামে এক যুবলীগ নেতার আর্থিক সহায়তায় এই ঘরটি হয়েছে শ্রমিক নেতা জসিম উদ্দিনের মামার বাড়িতে।তিনি মামার বাড়িতেই থাকেন এবং বড় হয়েছেন ।
তাই বিবেকে নাড়া দিয়ে উঠলো মানবিক শ্রমিক নেতা জসিমকে নিয়ে কিছু লিখতে…
ক্ষমতার স্বাদ পাইতে কত দলছুট নেতারা আজ আওয়ামী রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত বিলাসী জীবন যাপনে তাদের গড়ে উঠেছে অবৈধ অর্থের পাহাড়। হাইব্রিড নেতারা উচ্চ পর্যায়ে আসীন আধুনিক জীবন যাত্রার মধ্য দিয়ে চলছে তাদের জীবন ।
অথচ আওয়ামী লীগকে ভালোবেসে রাজপথে সাহসী নেতৃত্ব দিয়ে আসা হতদরিদ্র তৃণমূল থেকে ওঠে আসা গ্রামের সহজ-সরল শ্রমিক লীগ নেতা মোঃ জসিম উদ্দিন এর মতো অনেক আওয়ামী দুঃসময়ের কর্মীরা হয়ে পড়ছেন অবহেলিত।
পারছে না তিন বেলা ঠিকমতো খেতে
অথচ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ টানা ১৪ বছর ধরে সরকারি দল ক্ষমতায় এমন অবস্থায়ও তাদের দিকে হাত বাড়াননি এমপি মন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় নেতা স্থানীয় নেতারা।
তাই বিশ্ব মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন জসিমদের মতো বাংলার আনাচে কানাচে লুকিয়ে থাকা প্রতিভা সম্পূর্ণ অনেক ত্যাগি পরিক্ষিত নেতা কর্মীরা অবহেলায় লাঞ্ছনা বঞ্চনার শিকার হয়ে আছেন।
তাদের প্রতি মাদার অব হিউম্যানিটি জননেত্রী শেখ হাসিনা যেন একটু সহানুভূতির হাতটি বাড়ান তবেই আশাকরি দলের ভিতর বাহির আরো অনেক বেশি শক্তিশালী হবে এবং আওয়ামী সরকার তার কাংখিত উন্নয়নের লক্ষ্যকে তরান্বিত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে এখন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথে।
এসকল নেতা কর্মীদের প্রতি একটু সুদৃষ্টি দিলে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সহায়ক ভূমিকা পালনে আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে তৃনমুল পর্যায়ের নেতা কর্মীদের এমন ধারনা।