কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : নেত্রকোনায় মাইক্রোবাস থামিয়ে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে গাড়ির চালক ও সহকারির (হেলপার) টাকা ছিনিয়ে নেওয়া ও আরো এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুর্বধলা থানা-পুলিশ।
রবিবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এরআগে একই দিন মাইক্রোবাসের হেলপার মো. আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে আটক দুজন ও পলাতক দুজনের নামে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃত দুজন হলো- পূর্বধলার তারাকান্দা গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান বুলবুলের ছেলে মো. তুষার আহম্মদ (৩৫) ও দেওটুকুন এলাকার নজরুল তালুকদারের ছেলে বাপ্পা (৩৫)। এ ঘটনায় পলাতক দুজন হলেন- একই উপজেলার মহিষবেড় গ্রামের মো. বাচ্চু (৪৫) ও ভিকুনিয়া গ্রামের সাগর আহম্মদ (৩৪)।
জানা যায়, গত শনিবার মাইক্রোবাসের চালক ও হেলপার জামালপুর জেলা থেকে ভাড়ায় যাত্রী নিয়ে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজলায় যান। যাত্রী নামিয়ে সেখান থেকে ফেরার পথে ওইদিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পূর্বধলার হোগলা ইউনিয়নের উকুয়াকান্দা সড়কে দুটি মোটর সাইকেল পথরোধ করে ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়। এ সড়ক দিয়ে যেতে হলে তাদেরকে মাসোয়ারা দিতে হবে বলে মাইক্রোবাসের চালক ও হেলপারকে নির্জন স্থানে নিয়ে যায় এবং তাদের দুজনের কাছ থেকে পাঁচ হাজার ১৫০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। ফোন করে বাড়ি থেকে আরো এক লাখ টাকা আনতে বলে ডিবি পুলিশের পরিচয়দানকারীরা।
কৌশলে তারা দুজন থানা পুলিশকে জানালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তুষার আহম্মেদ ছাড়া বাকিরা পালিয়ে যায়। পরে তুষারের দেওয়া তথ্যে বাকিদের পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ। ওইদিন রাতেই বাপ্পাকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
পূর্বধলা থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম সতত্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তুষার আহম্মেদ সম্পৃক্ততার থাকার বিষয়টি স্বীকার ও অন্যদের পরিচয় নিশ্চিত করেছে। ছিনিয়ে নেওয়া টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের শেষে আটক দুজনকে দুপুুরের দিকে নেত্রকোনা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে জানান তিনি।