নজরুল ইসলামঃ
পরকীয়ার জের ধরে প্রেমের টানে ঘর ছেড়ে পালাল দুই সন্তানের জননী। এমন ঘটনা ঘটেছে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের দূগাছি গ্রামের আরশাদ আলীর মেয়ে মোছাঃ সাবিনা খাতুন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই ইউনিয়নের নিচিন্তপুর গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে শহর আলীর সাথে প্রায় আট বছর আগে বিয়ে হয় সাবিনার(৩২) এর। শহর আলী বিভিন্ন সময়ে সংসার ভরণপোষণের প্রয়োজনে পাইলিং সেক্টরে ঢাকায় কাজ করতো। এ সুযোগে বোয়ালিয়া কান্দা গ্রামের মোস্তফার ছেলে এমদাদুল ইসলাম (২৪) এর সাথে দুই সন্তানের জননী সাবিনা খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক ঘরে ওঠে। দীর্ঘ প্রায় এক বছর যাবত যুবক এমদাদ সাবিনার প্রেমের সম্পর্ক, শারীরিক সম্পর্কে রুপ নেয়।আর এ অবস্থায় স্বামী শহর আলীর অনুপস্থিতির সুযোগে গত ইং ২২.১.২০২৩ তারিখ রাতে নিচিন্তপুর গ্রামে শহর আলীর বসত ঘরে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানো অবস্থায় এমদাদুল’কে আটক করে গ্রামবাসী। পরে বোয়ালিয়াকান্দা গ্রামের জনৈক ফজল হকের জিম্মায় উভয়কে নিয়ে আসে এলাকাবাসী।
অনেক আলোচনা সমালোচনার পর স্বামী শহর আলীকে দূগাছি গ্রামের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোঃ আমিনুল ইসলামের মধ্যস্ততায় এলাকায় নিয়ে এসে ফজল হকের বাড়িতে ২৩.১.২০২৩ ইং রাতে সালিশের মাধ্যমে শহর আলী এবং সাবিনার যৌথ তালাক প্রদান শেষে সাবিনা এমদাদুলের বিয়ে সম্পন্ন করেন ঘাগড়া ইউনিয়নের কাজী মোঃ আব্দুর রউফ সবুজ। স্বামী সংসার দুই সন্তানের মায়া ত্যাগ করে যুবকের হাত ধরে ঘর পালিয়ে বিয়ে করার বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।