কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : ময়মনসিংহের কোতোয়ালী মডেল থানাধীন জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে কৃষক কাশেম আলী (৪৮) হত্যা মামলার প্রধান আসামী মোবারক হোসেনকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪। তিনি বরিয়ান গ্রামের লাল মিয়া ফকিরের ছেলে। হত্যাকান্ডের ১১ দিন পলাতক থাকার পর র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন মোবারক হোসেন।
ভিকটিম কাশেম আলী একই থানাধীন বরিয়ান গ্রামের মৃত কেরামত আলীর ছেলে। এ হত্যাকান্ডে নিহতের স্ত্রী ফরিদা খাতুন (৪২) বাদী হয়ে মোবারক হোসেনকে প্রধান আসামি করে আটজনের নাম উল্লেখ ও আরো পাঁচ-ছয়জনকে অজ্ঞাতনামা করে মামলা দায়ের করেন।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সকালে ময়মনসিংহ র্যাবের টিটিসি ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর আখের মুহম্মদ জয়ের প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে। এরআগে গত বুধবার বিকেল ৪টার দিকে চাঞ্চল্যকর হত্যকান্ডের প্রধান আসামিকে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাবের আভিযানিক একটি দল।
বিজ্ঞপ্তিতে র্যাবের ওই কর্মকর্তা জানা যায়, পূর্ব থেকে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসতেছিল মোবারক হোসেন গংদের সাথে। গত ৮ অক্টোবর গভীর রাতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঘুমন্ত কাশেম আলীকে তার বসত ঘরের অদূরে নদীর পাড়ে নিয়ে যায় মোবাররক হোসেন ও তার সঙ্গীয়রা। সেখানে এলোপাথারি মারপিট ও গুরুতর জখম করে অজ্ঞান অবস্থায় রেখে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমকে গুরুতর জখম ও অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে মামলার বাদী ও অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন মিলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কাশেম আলীকে মৃত ঘোষনা করেন।
এ হত্যাকান্ডটি ময়মনসিংহসহ সারা দেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ঘটনার পর পরই র্যাবের একটি চৌকস দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন, ছায়া তদন্ত, ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন ও ঘটনার সাথে জড়িতে আটক করতে জোর তৎপরতা শুরু করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আদালতে সোপর্দ করার জন্য ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের কাছে ইতিমধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।