কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : নেত্রকোনা জেলা শহরের নিউটাউন নিবাসী প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল্লাহ্ আল মাহমুদ বুলবুল এর ক্রয়কৃত জমি বেদখলের পাঁয়তারার প্রতিবাদে তার বিধবা স্ত্রী ফেরদৌসী খান জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার প্রয়াত স্বামী ছাত্র রাজনীতি, আওয়ামী রাজনীতি ও মুক্তিযুদ্ধে জীবনবাজী রেখে লড়াই করে এ দেশকে স্বাধীন করেছে। আমার স্বামী ১৯৯৭ সালে সদর উপজেলার সিংহের বাংলা ইউনিয়নে বাংলা গ্রামের মৃত সমশের আলীর পুত্র সিরাজুল রহমানের কাছ থেকে ৮৭৬ এসএ দাগের ৬৯ শতাংশ জমির মধ্যে ৩৪ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। পরবর্তীতে এ জমি বর্গা চাষী দিয়ে চাষাবাদ করান। বিগত ২০০৬ সালে ২২ ডিসেম্বর স্বামী মৃত্যু বরণ করে। সম্প্রতি উক্ত জমির উপর দৃষ্টি পরে কান্দুলিয়া গ্রামের মৃত গুলে হোসেনের পুত্র আব্দুল জলিল ও ইয়ার হোসেনের। কিছুদিন আগে জলিল গংরা আট শতক জমি বেদখলের পাঁয়তারা করে তারা। খবর পেয়ে আমার পক্ষ নিয়ে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ও সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দরা এর প্রতিবাদ করে এবং জমির সীমানা নির্ধারনের জন্য সীমানা ঘেঁষে গাছ রোপন করে।
সংবাদ সম্মেলন তিনি আরও বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী। বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে দুই সন্তান নিয়ে অনেক দুঃখে কষ্টে জীবন অতিবাহিত করছি। আমার স্বামীর শেষ সম্বলটুকু বেদখল করে নিলে আমাদেরকে না খেয়ে মরতে হবে। তিনি সংবাদ সম্মেলন তার স্বামীর ক্রয়কৃত জমির মালিকানা বুঝে পেতে সাংবাদিকদের মাধ্যমে স্থানীয় উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।
এ সময় সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন, মুক্তিযুদ্ধ কালীন উইং কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সামছুজ্জোহা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মু্ক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল আমিন, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন খান, নেত্রকোনা সদর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আইয়ুব আলী, সিংহের বাংলা ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক গাজী মর্তুজা হোসেন কামালসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এ সংবাদ সম্মেলনে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।