কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় বাল্কহেডে এক নৌকা থেকে বালু লোড করার সময় আরেক নৌকা (জজ মিয়ার নৌকা) বাল্কহেড ও নৌকার মাঝখান দিয়ে ঢুকিয়ে ধাক্কা দেয়। এসময় নৌকা থেকে বাল্কহেডে বালু তোলার সময় দুই শ্রমিক নদীতে পড়ে যান। এই নিয়ে দুই নৌকার লোকজনের সাথে তর্কবিতর্কের পরে রাতে সমাঝোতার চেষ্টাও ব্যার্থ হয়। পরে প্রতিপক্ষের দাঁড়ালো অস্ত্রের আঘাতে চারজন আহতের ঘটনা ঘটে। দুপক্ষই উপজেলার ঝাঞ্জাইল (জাউলারপাড় বন্দেরবাড়ি) এলাকার বাসিন্দা।
আহতরা হলেন- মো. সেলিম মিয়া (২২), মো. সুজন মিয়া (২৬), খোকন মিয়া (৩৬) ও মজিবুর রহমান (২৩)। সেলিম মিয়া ও সুজন মিয়া বর্তমানে দুর্গাপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বাকি দুজন হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে চলে আসেন। এ ঘটনায় সেলিম মিয়ার বাবা মো. দুলাল মিয়া বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলো- মো. সিদ্দিক মিয়া (৫৮), মো. জজ মিয়া (৪০), সোহাগ মিয়া (২৪), এমদাদুল হক (২৬), রুবেল মিয়া (২৭), মো. জুয়েল মিয়া (২৮), রিয়াদ হোসেন (২৪), আজিজুল ইসলাম (৩২) ও ফয়সাল (২৮)।
রবিবার অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিউল্ল্যাহ মির্জা। গত শনিবার রাতে অভিযোগ দায়ের করেন আহত সেলিমের বাবা দুলাল মিয়া। ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানান তিনি।
এ ব্যাপারে বাদী দুলাল মিয়ার সাথে কথা বলে জানা যায়, ‘গত বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বিকেলে নৌকা থেকে বাল্কহেডে বালু লোড করার সময় আরেকটি নৌকা (জজ মিয়ার নৌকা) বাল্কহেড ও নৌকার মাঝখানে ঢুকিয়ে ধাক্কা দেয়। এতে বেলচা দিয়ে বাল্কহেডে বালু তোলার সময় নৌকা থেকে সেলিম ও সুজন পানিতে পড়ে যান। নদীতে পড়ে যাওয়া দুজনের নৌকায় থাকা অন্যান্যরা প্রতিবাদ করলে জজ মিয়ার সাথে তর্কবিকর্ত হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় এনিয়ে ঝাঞ্জাইল বাজারে সামাজিকভাবে মীমাংসার চেষ্টাও ব্যর্থ হয়।’
দুলাল মিয়া আরো জানায়, ‘জজ মিয়ার লোকজন ঝাঞ্জাইল ওভারব্রীজের সন্নিকটে পথরোধ করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করেন। এতে চাপতির কোপে সেলিম মিয়ার মাথার পেছনে বাম পাশে ও ডান চোখের ওপরে কোপ লাগে। সুজন মিয়া ফেরাতে গেলে তার মাথাতে কোপ লাগে। খোকন ও মজিবুর তারাও ফেরাতে আসলে রক্তাক্ত আঘাতপ্রাপ্ত হন। বর্তমানে সেলিম মিয়া ও সুজন মিয়া দুর্গাপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং বাকি দুজন চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে চলে এসেছে।’