কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলায় পুলিশ মিয়া (৭৫) নামে নামে এক বৃদ্ধের মরদেহ পিঠের পাজরে কুপ ও গলা কাটা অবস্থায় নিজ বসতঘর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২২ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গের প্রেরণ করেছে থানা-পুলিশ।
নিহত পুলিশ মিয়া উপজেলার পালগাঁও গ্রামের মৃত মইজ উদ্দিনের ছেলে। এ হত্যাকে ঘিরে এলাকায় রহস্য ও চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশের ধারনা গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার থেকে পরেরদিন ভোর ৫টার মধ্যে যেকোন সময় হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে। এঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) হারুন অর রশিদ, পুলিশের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাসহ পিবিআই, সিআইডি, পুলিশের ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নিহতের ছেলে আলম মিয়ার বউ মানি আক্তার জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে তার শ্বশুর পুলিশ মিয়া খাবার খেয়ে নিজের ঘরে ঘুমাতে যান। তিনি আরেক ঘরে ঘুমান। পরেরদিন ভোর ৫টার দিকে ঘুম থেকে ওঠে শ্বশুরের ঘরের দরজা চাপানো ঘরে ঢুকে পত্রবধূ দেখেন শ্বশুরের পিঠের বাম পাশের পাজর ও গলা কাটা রক্তাক্ত অবস্থায় চৌকির উপরে পড়ে আছে।। পরে তিনি ডাক চিৎকার শুরু করেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার তেলিগাতী বাজারে হেলিম গ্রুপের সোহেল মিয়ার সাথে মোজামেল গ্রুপের মোজাম্মেল, জাহাঙ্গীর, জয়নাল, মাসুদ ও কয়েকজনের সাথে তর্কবিতর্ক হয়। পুলিশ বাজারে উপস্থিত হলে লোকজনের মধ্যস্থতায় দুপক্ষেই যার যার বাড়িতে চলে যান।
একে কেন্দ্র করে একইদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে পালগাঁও গ্রামের হেলিম পক্ষের খায়রুল, হুমায়ুন, সোহেল ও ইমন এবং মোজাম্মেল পক্ষের মোজাম্মেল, জাহাঙ্গীর জনি, সমরোজ, রব মিয়া মিলন মিয়া গংদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে নিহতের ছেলে মো. রফিক মিয়া (২৪) ও স্ত্রী আমেনা খাতুন (৬৫) আহত হয়ে আটপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন।
আটপাড়া থানার ওসি জাফর ইকবাল বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশের ক্রাইম সিন ইউনিটের কার্যক্রম শেষে বিকেল ৩টার দিকে নিহতের লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিজ বসতঘরে পিঠের পাজরে কুপ ও গলা কাটা ঘটনাটি রহস্য ও এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হবার আগেই দুপক্ষের লোকজন অজ্ঞাতস্থানে চলে গেছেন।