কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় সেলিনা খাতুন (৩৫) নামে এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধারের সাত ঘন্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উন্মোচন করতে পেরেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) এ ঘটনায় তিনজনের আটক করে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।
এরআগে গত বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার শিমুলতলী গ্রামের জনৈক মো. বাবুল মিয়ার ভাড়াকৃত বালু পোর্টের টিনসেড ঘরে চৌকির উপর থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়। গৃহবধূ সেলিনা খাতুন একই উপজেলার কাকড়কান্দা (শিবগঞ্জ বাজার) গ্রামের এমদাদুল হকের স্ত্রী।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- দাখিনাইল গ্রামের হযরত আলীর ছেলে ট্রাকচালক শাহ আলম শামীম (২৮), একই গ্রামের আ. মান্নানের ছেলে আরেক ট্রাকচালক আলীম উদ্দিন ওরফে আলী (২৩) ও কাপাসাটিয়া গ্রামের হাবিবুল হকের ছেলে ট্রাকের হেলপার মাসুম ফকির (২০)। তারা সকলে দুর্গাপুর উপজেলার বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ফখরুজ্জামান জুয়েল।
তিনি জানান, আসামিরা গৃহবধূকে টাকার বিনিময়ে ভাড়া আনেন। ঘটনাস্থলে ভূক্তভোগীকে পালাক্রমে ধর্ষণ শেষে টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ভূক্তভোগীকে লাথি মেরে চৌকির উপর ফেলে দেন। আসামিদের মধ্যে একজন সাথে থাকা গামছা দিয়ে গলায় প্যাঁচিয়ে ধরেন ও আরেকজন বুক চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে আত্মগোপনে চলে যান আসামিরা।
তিনি আরো জানান, এ হত্যাকান্ডটি ক্লুলেস ছিল। দুর্গাপুর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার মাহমুদা আক্তার নেলী, থানার ওসি মো. শিবিরুল ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের দ্রুত ও আন্তরিক চেষ্টায় ঘটনার সাতঘন্টার মধ্যে এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে।
আসামিরা প্রাথমিকভাবে তারা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। আসামিদেরকে আদালাতের প্রেরণ করলে জেলে প্রেরণ করেন আদালত। আসামিরা আদালতে ঘটনার জবানবন্দী দিলে রিমান্ডের আবেদনের প্রয়োজন হবে না। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। ফরেনসিক রিপোর্ট প্রাপ্তির পর ধর্ষণের আলামত পেলে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলার ধারা সংযোজন করা হবে বলে জানান তিনি।