সাইফুল আরিফ জুয়েল : ময়মনসিংহ বিভাগের বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক পরিবারের উদ্যোগে নেত্রকোনার দুই হাজারের অধিক বানভাসি মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি শিশু ও গো-খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ময়মনসিংহ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক জামিল আহম্মেদের সার্বিক সহযোগীতায় ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক পরিবারের অর্থায়নে এসব ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়।
বন্যা শুরুর পর গত ১৮ জুন থেকে ময়মনসিংহ অঞ্চলের স্বেচ্ছাসেবীদের সহযোগীতায় জেলার বন্যাদুর্গত মোহনগঞ্জ, কলমাকান্দা ও আটপাড়া উপজেলার বানভাসি মানুষের মাঝে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
এর মধ্যে মোহনগঞ্জে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের সহযোগীতায় সুখদেবপুর বানিয়াহারী এসইএস ডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্র, পিরোজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, দৌলতপুর মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, জয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, জয়পুর দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্র ও হাছলা উচ্চ বিদ্যালয়ের আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা বানভাসিদের মাঝে খাদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এছাড়া শুকদেবপুর গ্রাম, মেদিপাথরকাটা, জয়পুর, নয়াপাড়া, মিয়াশি, হাছলা ও নেহেরা এলাকায় এক হাজার বানভাসি মানুষের মাঝে ত্রান বিতরণ করা হয়।

কলমাকান্দার দর ইউনিয়নের হরিনধরা, নাগডরা, রংশিংপুর গ্রাম ও রংছাতি ইউনিয়নের দারাপাড়া গ্রাম ও লেংগুরা ইউনিয়নের কাঠালবাড়ী গ্রামের ৪৫০টি পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়।
আটপাড়ায় জলার বানিয়াজান ইউনিয়নের আটপাড়া, বানিয়াজান, ছয়াশি, মোবারকপুর গ্রাম, শুনই ইউনিয়নের কালিয়াখালী গ্রাম, বাউশা, উত্তরকোনা ও পালিয়াটি আশপাশের ৮০০ পরিবারের মাঝে শুকনো খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা হয়।
ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের সমন্বয়ক নাদিরা আক্তার মিতু জানায়, বড়দের খাবারের পাশাপাশি শিশুদের জন্য শিশুদের খাবার যেমন গুড়া দুধ ও চিনি ইত্যাদি বিতরণ করেছি। এ দিকে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উপযোগী পুষ্টিকর খাবার ও মেয়েদের জন্য সেনেটারি ন্যাপকিনও বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া গবাদি পশুর খাদ্যও বিতরণ করেছি। পাশাপাশি ত্রাণ তৎপরতা চলাকালীন কিছু বানভাসি পরিবারকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌছানোর কাজও স্বেচ্ছাসেবীরা করেছে। এসব কাজে নিরলসভাবে শ্রম দেওয়া আমাদের স্বেচ্ছাসেবীদের ধন্যবাদ দিতে চাই।
মিতু আরও জানায়, আসন্ন ঈদে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০০টি পরিবারকে ঈদ উপহার দেওয়া হবে। উপহার হিসেবে থাকবে এক কেজি গরুর মাংস, একটি ব্রয়লার মুরগী, এক লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি আলু, আধা কেজি আদা পাঁচ কেজি চাল, এক করে ডাল, লবন, চিনি, পেয়াজ, রসুন ও গুড় এবং প্রয়োজনীয় গরম মশলা। এসব উপহার ক্রয়ে পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।