কে. এম. সাখাওয়াত হেোসেন : ভারতে মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনা খালিয়াজুরী উপজেলার ধনু নদীর পানি বৃদ্ধির পেয়েছে। এতে উপজেলার কির্তনখোলার হাওড় রক্ষা বেড়ী বাঁধ ঝুঁকির মুখে পড়েছে। তাছাড়া পানি বৃদ্ধি ও বাঁধে প্রবল বাতাসের ঢেউয়ের কারণে এ বাঁধটি যেকোন মুর্হুতে ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছে অত্র এলাকার কৃষকেরা। কির্তনখোলা বাঁধে চাকুয়া, রানীচাপুর, বল্লী ও খালিয়াজুরী সাধারণ জনগণ বাঁধ রক্ষায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
খালিয়াজুরী কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, খালিয়াজুরী হাওড়ে প্রায় ২১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। পাহাড়ি ঢলের কারণে বেঁড়ি বাধের বাইরে প্রায় ১১৩ হেক্টর জমির ধান তলিয়ে গেছে।
চাকুয়া গ্রামের বাবুল রায় বলেন, বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রচন্ড বাতাস থাকায় হাওড়ে ঢেউ উঠছে। ঢেউয়ের আঘাতে বাঁধ ভাঙ্গতে শুরু করেছে। এতে ক্রমশই বাঁধ দুর্বল হয়ে পড়ছে।
নগর ইউনিয়নের মেম্বার ও পিআইসি সভাপতি কবীন্দ্র সরকার বলেন, ষাড় মারা বিলের বাঁধও ঝুঁকিপূর্ণ। পানি বাড়ায় বিলে প্রচন্ড ঢেউ বাঁধে আঘাত করায় বাঁধ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

সোমবার (৪ মার্চ) ঝূকিপূর্ণ কির্তনখোলা বেড়ি বাঁধ পরিদর্শনে আসেন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ফকরুজ্জামান জুয়েল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খালিয়াজুরী সার্কেলের মো. রবিউল ইসলামসহ আরো অনেকে।
এসময় খালিয়াজুরী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইয়াসিন খন্দকার বলেন, মনিটরিং ব্যবস্থা চালু রাখা আছে। কির্তনখোলা বাঁধ রক্ষার জন্য সব ধরণের চেষ্টা অব্যাহত আছে। তাছাড়া কৃষকরা স্বপ্রণোদিত হয়ে বাঁধে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তাছাড়াও পাইয়ার বাঁধ, শুক্কর মেম্বারের বাড়ী সংলগ্ন বাঁধও ঝুকিতে রয়েছে।
এবিষয়ে নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত জানান, বাঁধ রক্ষা করার জন্য সব ধরণের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বাঁধ রক্ষায় বাঁধের ঝুকিপূর্ণ স্থানে সকল পিআইসি, কৃষকসহ সকলকে নিয়ে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ধনু নদীর পানি আজ (সোমবার) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিপদ সীমার এক ফুটের নিচে রয়েছে। প্রচন্ড বাতাসের বড় বড় ঢেউ বাঁধগুলো বেশি ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের চাপ আরো বাড়লে উপজেলার প্রত্যেকটি বাঁধ হুমকির মধ্যে পড়বে।