কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় মহান স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি পালনের সময় আওয়ামী লীগ ও জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে বিএনপির ও এর অঙ্গ সংগঠনের অন্তত ১৫ জন আহত এবং এদের মধ্যে আট জনের হাত-পা ভাঙা, মাথায় আঘাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার (২৬ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার ধান মহল রোডে এ ঘটনায় গুরুতর আহতেরা হলেন- উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহব্বায়ক আ. মতিন (৫৫), যুবদলের চন্দন (৩৭), মো. আলমগীর (৩৫) ও কামরুল (৩২), স্বেচ্ছাসেবক দলের আরাফাত (২৬), ছাত্রদলের শেখ রবিন (২৮), তমাল হাসান (২৫) ও সারোয়ার (৩০)।
উপজেলার লেঙ্গুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা সাইদুর রহমান ভূঁইয়া জানান, ‘২৬ মার্চ উপলক্ষে পুস্পস্তবক অর্পণের জন্য আমরা শান্তিপূর্ণভাবে যাচ্ছিলাম। যাবার পথে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পলাশ কান্তি বিশ্বাসের নেতৃত্বে আ.লীগের নেতা-কর্মীরা পেছন থেকে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় পুলিশের ভূমিকা ছিল নিরব দর্শক। এ হামলায় আমাদের ১৫-২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহব্বায়ক আ. মতিন ও ছাত্রদলের তমাল হাসানের মাথা ফেটে গেছে, ছাত্রদলের সারোয়ারের হাতভাঙাসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আটজন নেতা-কর্মী শরীরের বিভিন্নস্থানে রক্তাক্ত জখম প্রাপ্ত। তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকি আহতেরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।’
তিনি আক্ষেপ করে আরো বলেন, ‘স্বাধীনদেশে ২৬ মার্চের কর্মসুচীতে আ.লীগের নেতা-কর্মীদের হাতে মাথা ফাটানো, হাত-পা ভাঙাসহ বিএনপির কর্মীদের রক্তাক্ত জখম হয়ে হাসপাতালে যেতে হয়। এদিনেও আমরা আমাদের কর্মসূচী স্বাধীনভাবে পালন করতে পারি না। প্রতিনিয়ত রাজনৈতিক কর্মসূচী পালনে প্রতিপক্ষের দ্বারা এধরণের হামলার শিকার হতে হচ্ছে বিএনপিকে।’
এ ব্যাপারে কলমাকান্দা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পলাশ কান্তি বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘আরোপিত অভিযোগ সঠিক নয়। স্বাধীনতা দিবসে একাজ আমি কি করে করি’ বলে সংযোগ কেটে দেন।
এ বিষয়ে কলমাকান্দা থানা ওসি মো. আবদুল আহাদ খানের সরকারি নাম্বারে একাধিকবার ফোন দেয়া হলে সংযোগ কেটে দেওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।