সাইফুল আরিফ জুয়েল : আন্তঃজেলা চোর চক্রের তিন সদস্যকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতর করেছে নেত্রকোনার কলমাকান্দা থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছথেকে বেশ কিছু চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
তারা হলেন, গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলার টেংগরজানী গ্রামের মো. নুরুল ইসলাম ওরফে পেল্টু (৩১), ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার চরপাতা গ্রামের মো. রুবলে (৩৫) ও তার ভাই মামুন আহম্মদে (৩১)। এদের মধ্যে নুরুল ইসলাম ওরফে পেল্টুকে রাজধানীর মিরপুর শাহ আলী এলাকা থেকে ও অন্য দুজনকে খিলগাঁও গোরান এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, কলমাকান্দা বাজারস্থ চাঁনপুর মোড়ে আল টেলিকম নামে একটি মোবাইল দোকানে গত ১১ ফেরুয়ারি রাতে চুরির ঘটনা ঘটে। এসময় দোকানে থাকা ৭৪টি বিভিন্ন মডেল, ব্র্যান্ডের মোবাইল সেট ও নগদ পাঁচশ’ টাকাসহ সর্বমোট নয় লক্ষ ৬৮ হাজার ৪৬৭ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়া যায়। এ ঘটনায় দোকান মালিক মো. নুর আলম বাদী থানায় মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ আরও জানায়, এর পরপরই চুরির ঘটনার রহস্য উদঘাটনে নামে পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রথমে নুরুল ইসলাম ওরফে পেল্টুকে সনাক্ত করে রাজধানীর মিরপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যে অপর দুজনকে খিলগাঁওয়ের গোরান থেকে গ্রেফতার করা হয়। চক্রটি দশের বিভিন্ন জেলায় একটি নির্দিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করে। তারপর কিছুদিন ওই এলাকায় অবস্থান করে সকল বিষয়ে তথ্য নিয়ে সুযোগমত পরিকল্পিতভাবে চুরির ঘটনা ঘটায়।
কলমাকান্দা থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এরা আন্তঃজেলা চোর চক্রের সদস্য। দেশের বিভিন্ন থানায় তাদের নামে ৭/৮টি চুরির মামলা তদন্তাধীন আছে।
ওসি আরও জানান, আলম টেলিকম হে মোবাইল চুরির পর তাদের সাথে থাকা সঙ্গবদ্ধ আন্তঃজেলা চোরচক্রের মূল হোতা সাইফুল ইসলাম খোকন ওরফে খোকন কাজীর কাছে জমা রাখে বলে গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করেছে। খোকন কাজীর বাড়ি পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলায়। তাকে গ্রেফতার পাশাপাশি চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে।