কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : কলেজ পড়ূয়া ছাত্রকে অপহরণের ১২ ঘন্টার মধ্যে উদ্ধার করেছে নেত্রকোনা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। উদ্ধার হওয়া শিক্ষার্থী কবির (২০) হোসেন নেত্রকোনা পৌর শহরের পারলা এলাকার রুস্তম আলী ছেলে। ভূক্তভোগী নেত্রকোনা সরকারি কলেজের ডিগ্রী প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নেত্রকোনা পুলিশ কার্যালয়ে পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী সংবাদ সম্মেলনে জানান, ভূক্তভোগী কবির হোসেন গত বুধবার সকালে ভাড়াকৃত মোটর সাইকেলযোগে জেলার কলমাকান্দা উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তবর্তী পাচগাঁও বন্ধুর বাড়িতে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। সকাল অনুমান ১০টার দিকে ওই এলাকায় পৌঁছা মাত্র ৩-৪ জন ব্যক্তি পথরোধ করে এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অপহরণ করে সীমান্তবর্তী অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। ভূক্তভোগীর সাথে থাকা ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় ও মারপিঠ করে। সাথে থাকা মোবাইল ফোন দিযে ভূক্তভোগীর বাবার কাছে তিন লক্ষ টাকা মুক্তিপণ না দিলে কবির হোসেনকে মেরে ফেলা বা ভারতে পাচার করা হবে।
তিনি আরো বলেন, ওইদিন দুপুর আড়াইটার দিকে ভূক্তভোগীর বাবা বিষয়টি আমাকে অবগত করেন। পরে টেকনিক্যালি অপরাধীদের চিহ্নিত করার সুবিধার্থে পুলিশের পক্ষ থেকে অপহরণকারীদের দেয়া নম্বরে লেনদেন করা হয়। প্রযুক্তি ও মেন্যুয়াল পদ্ধতি অবলম্বন করে নেত্রকোনা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরিদ আহমেদের নেতৃত্বের ডিবির একটি দল রাতেই সীমান্ত এলাকায় অবস্থান করে। পরে রাত ১০ টার দিকে কলমাকান্দার রংছাতি ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া গ্রামের একটি ঘরে অভিযান পরিচালনার সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা সীমান্তে পাহাড়ে দিকে পালিয়ে যায়।
ভূক্তভোগীকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তাকে তার বাবা-মার কাছে হস্তান্তর করা হবে। অপহরণকারী চক্রকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে। মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অপরাধীরা আইনের আওতায় চলে আসবে আশা ব্যক্ত করেন জেলা পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ভূক্তভোগীর মা-বাবা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ফখরুজ্জামান জুয়েল, সদর সার্কেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোরশেদা খাতুন, জেলা পুলিশের বিভিন্ন স্তরের সদস্যবৃন্দসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।