কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : যাত্রাপথে যাত্রীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে পরে অজ্ঞান করে ছিনতাই করে প্রতারণা চক্রটি। পরে প্রতারণা করে পরিবারের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়া চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নেত্রকোনা ডিবি (গোয়েন্দা) ও মডেল থানা থানা-পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টায় দুজনকে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার শিমুলকান্দি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জেলার পূর্বধলা উপজেলার বহেরাকান্দা গ্রামের মিরাশ আলীর ছেলে আ. মোতালেব (৪২) ও কুড়পাড় গ্রামের চালু শেখের ছেলে আজিজুল হক (৩৪)।
মঙ্গলবার সকালে এ চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি খন্দাকার শাকের আহমেদ বলেন, আমতলা ইউপির গোবিন্দপুর (শিবপুর) গ্রামের মো. আবুল খায়ের (৩৫) তার ভাই মো. আব্দুল ওয়াহাব (৪২) নিখোঁজের জিডি দায়ের করেন। যদিও নিখোঁজের ঘটনাস্থল আমার থানাধীন এলাকায় ছিল না।
তবে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে জিডিটি আমলে নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ডিবি পুলিশের সহায়তায় দুজনকে আটক করা করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক দুজন জানান- আ. ওয়াহাবের (ভিকটিম) সাথে এক জেলার বাসিন্দা পরিচয়ে সখ্যতা গড়ে তোলেন ও ভিকটিমকে অজ্ঞান করে ঢাকার কারওয়ান বাজার এলাকায় ফেলে রেখে চলে আসে তারা। মোবাইলে তার স্ত্রী’র কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে দু’দফায় নয় হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় এ চক্রটি।
ঘটনাস্থল যেহেতু কারওয়ান বাজার এলাকায় তাই আটক দুজনকে ঢাকা তেজগাঁও থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন। তবে ভিকটিমের সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
ভুক্তভোগীর ভাই আবুল খায়ের বলেন, গত দেড় মাস আগে আমার ভাই আ. ওয়াহাব দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে মুন্সিগঞ্জ জেলায় কাজে যান। সেখান থেকে গত ২০ অক্টোবর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এদিন দুটি নম্বর থেকে ভাবির (ভিকটিমের স্ত্রী) নম্বরে কল আসলে ধরেননি তিনি।
পরদিন সকাল ৬টার দিকে আরেকটি নম্বর থেকে ফারুক পরিচয়ে ভাবীকে জানায় আ. ওয়াহাব ঢাকার কাওরান বাজার মাছের আড়তে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। আরেকটি মোবাইল থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি চিকিৎসার জন্য পাঁচ হাজার দাবি করেন। ভাবী এ কথা শুনে বিকাশের মাধ্যমে টাকা প্রেরণ করেন।
ভাবীর কাছ থেকে মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে কারওয়ান বাজার এলাকায় খোঁজাখুঁজি করে ভাইকে পায়নি। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মোবাইলে যোগাযোগ করলে আরও পাঁচ হাজার টাকা দাবি করে, না দিলে ভাইকে মেরে ফেলবে।
তিনি আরও জানান, র্যাবের সহায়তা নিয়ে জানতে পারি মোবাইল নম্বরধারীরা নেত্রকোনার শিমুলকান্দি টাওয়ারের অধীনে আছে। পরে নেত্রকোনা মডেল থানায় ডায়েরি করলে থানা-পুলিশ ও ডিবি পুলিশে কয়েক দিনের চেষ্টায় দুজনকে আটক করেছে। ভাইয়ের সন্ধান এখনো মেলেনি।
আজ (মঙ্গলবার) এ ঘটনায় অভিযোগ দাখিল করতে ঢাকার তেজগাঁও থানায় অভিযোগ দিতে পথের মধ্যে রয়েছি।