মোঃ সাকের খান, মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার মদনের পল্লীতে এক স্কুল ছাত্রী (১৪) ও আরেক তরুণী (২৬) কে ধর্ষণের অভিযোগে সুমন মিয়া (৩৫) নামের যুবকে আটক করেছে মদন থানার পুলিশ । মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সকালে নিজ বাড়ি থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহের উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনার মামলা প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ, ভুক্তভোগী দুই পরিবার ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, দুই সন্তানের জনক সুমন মিয়া গত রবিবার (১৭ অক্টোবর) উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের রুদ্রশ্রী এলাকার এক তরুণী (২৬) কে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। তাকে তিনদিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে বৃহস্পতিবার কৌশলে (২১ অক্টোবর) বাড়ি পাঠিয়ে, ওই রাতেই শ্রীধরপুর গ্রাম থেকে আরেক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সুমন। ওই ছাত্রীর বাবা শুক্রবার (২২ অক্টোবর) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে স্থানীয় মাতুব্বরা একাধিক সালিশ বৈঠক করেন। পরে সোমবার (২৫ অক্টোবর) অভিযুক্ত সুমন মিয়ার কাছ থেকে ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে নিজ পরিবারের জিম্মায় দিয়ে দেন। অন্য দিকে রুদ্রশ্রী এলাকার তরুণী (২৬ অক্টোবর) সুমন মিয়ার বিরুদ্ধে মদন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পৃথক দুটি অভিযোগে থানায় কোন মামলা না হওয়ায় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে এলাকায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ মঙ্গলবার সকালে সুমনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
সংল্লিষ্ট ইউপি সদস্য সোহেল চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অপহরণ করায় স্কুল ছাত্রীর বাবা সুমন মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। স্থানীয় মাতুব্বররা সুমন মিয়ার কাছ থেকে ৫ দিন পর স্কুল ছাত্রীকে তার নিজ পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়। এ ছাড়া বিয়ের প্রলোভন দিয়ে আরেক নারীকে বাড়িতে নিয়ে এসেছিল। সেই নারীও তার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। এটা আইনি বিষয় তাই বেশী কিছু বলতে চাই না।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, মঙ্গলবার সুমন মিয়াকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার মামলার প্রস্তুতি চলছে।