মো. সাকের খান (মদন) : নেত্রকোনার মদন উপজেলার ৩১ নং বাগজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদী ভাঙ্গনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে। বিদ্যালয়ের পিছনের বাথরুম ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন যে কোনো মুহূর্তে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে বিদ্যালয়ের ভবনটি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট ভবনটি রক্ষার দাবি এলাকাবসীর।
জানা গেছে, উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের বাগজান গ্রামের মগড়া নদীর তীরে ১৯৮৭ সালে স্থাপিত হয় বিদ্যালয়টি। এর উত্তর পাশ দিয়েই বয়ে গেছে মগড়া নদী। পাহাড় থেকে নেমে আসা পানি এ নদী দিয়ে প্রবাহিত হয়। ফলে সারাবছরই ভাঙন থাকে। বর্ষায় এলে এবং বর্ষার পানি নেমে যাবার সময় ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করে। গত চার বছরের ভাঙনে বিদ্যালয়ের পিছনের অনেক অংশ এবং নির্মণাধীন বাথরুম নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে। এখন মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে বিদ্যালয়ের ভবনটি। নদীর তীরে নেই কোনো বাউন্ডারী দেয়াল। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকরা সর্বদায় থাকেন আতংকে।
শিক্ষার্থী অভিভাবক আমিনুল ইসলাম, রবিউল খান কনু, মাহমুদা আক্তার, জাকির হোসেন রুবেল জানান, কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৪/৫ শত শিক্ষার্থী এ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। বর্তমানে বিদ্যালয় ভবনটির যে অবস্থা যেকোনো সময় নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
বিদ্যালয়টি রক্ষার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট জোড় দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আনিছুর রহমান জানান, নদী ভাঙ্গনের ফলে বিদ্যালয়ের ভবনটি হুমকির মুখে পড়েছে। ভবনটি রক্ষার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও কোনো রকম কাজ হচ্ছে না। নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। ভাঙ্গনের যে অবস্থা যে কোনো সময়ে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে বিদ্যালয়ের ভবনটি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান জানান, বিদ্যালয়ের ভবনটি রক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি আমাদের। কর্তৃপক্ষ যেন দ্রত এর ব্যবস্থা নেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেন জানান, বাগজান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি নদী ভাঙ্গনের ফলে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। ভবনটি রক্ষার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে অবগত করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।