মো. সাকের খান (মদন) : নেত্রকোনার মদনে তরুণী (১৯) কে যৌন নিপীড়ন করায় আনোয়ার হোসেন (২১) নামের এক তরুণের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার দুপুরে নেত্রকোনা আদালতে প্রেরণ করেছে মদন থানার পুলিশ। সোমবার রাতে আনোয়ার হোসেনকে আসামি করে থানায় এ মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী তরুণী। অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন নেত্রকোনার মদন উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের জাওলা গ্রামের ছাবেদ আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, জাওলা গ্রামের ছাবেদ আলীর ছেলে আনোয়ার ও তরুণী সম্পর্কে চাচাতো ভাই বোন হয়। তিনবছর আগে তাদের দুজনের মধ্য প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি দুই পরিবারের লোকজন জেনে যাওয়ায় ২০১৯ সালে ওই তরুণীকে পাশের উপজেলা কেন্দুয়ায় বিয়ে দেয়। আনোয়ার বিয়ের প্রলোভন দেওয়ায় ওই তরুণী স্বামীর সংসার ছেড়ে নিজ বাড়িতে চলে আসে।
এ নিয়ে এলাকায় কয়েক দফা শালিসী বৈঠক হলেও কোনো মীমাংসা হয়নি। গতকাল সোমবার সকালে ওই তরুণীর সঙ্গে দেখা করতে একই গ্রামে তরুণীর মামা হেলিম মিয়ার বাড়িতে যায় আনোয়ার। তখন ওই তরুণীকে যৌন নিপীড়ন করলে আনোয়ারকে ঘরে আটকে রেখে মদন থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় রাতে তরুণীর মামলা দায়ের করলে মঙ্গলবার সকালে নেত্রকোনা আদালতে প্রেরণ করে থানা পুলিশ।
অভিযুক্ত আনোয়ার বলেন, তিন বছর আগে তার (তরুণী) সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অন্য জায়গায় বিয়ে হওয়ার পর আমি তাকে ভুলে গেছি। স্বামীর সংসার ছেড়ে বাড়িতে চলে আসার পর থেকে আমাকে বিয়ে করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেছে। সোমবার সকালে তার মামার বাড়িতে যাওয়ার পর আমাকে আটক করে থানায় দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান সাফায়াত উল্লাহ রয়েল জানান, বিষয়টি নিয়ে এলাকায় একাধিক শালিস বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কোনো মীমাংসা হয়নি। শুনেছি ছেলেটিকে আটক করে থানায় দেওয়া হয়েছে।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম জানান, এ ঘটনায় তরুণী বাদী হয়ে আনোয়ারকে আসামি করে যৌন নিপীড়ন আইনে সোমবার রাতে থানায় মামলা করেছে। অভিযুক্ত আনোয়ারকে গেপ্তার করে মঙ্গলবার নেত্রকোনা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।