কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় চুরি করার সময় হীরা মিয়া (১৭) নামে কিশোরকে গাছে বেঁধে রাতভর নির্যাতনে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। কথিত চোর হীরা মিয়া উপজেলার মোজাফরপুর গ্রামের গোপিনাথ পাড়ার মৃত করিম মিয়ার ছেলে।
সোমবার বিকেল ৩টার দিকে ওই কিশোরের মা গুলে আক্তার বাদী হয়ে নির্যাতনের অভিযোগ এনে চারজনের নাম উল্লেখসহ ৮-১০ জনকে অজ্ঞাত করে কেন্দুয়া থানায় মামলা রুজু করেন। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করে বিকেলেই জেলা আদালতে প্রেরণ করেছে।
অভিযুক্তরা হলো- মো. আলীর দুই ছেলে জামিরুল ইসলাম (৩৪) ও কামরুল ইসলাম (২৭), মৃত হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে এমদাদুল হক ভূঁইয়া এবং মৃত তারু মিয়ার ছেলে শহীদ (৫০)। তারা সকলেই উপজেলার মোজাফরপুর মড়লপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এদের মধ্যে শহীদ ছাড়া বাকি তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বাদী গুলে আক্তারের অভিযোগে জানা যায়, আসামিগণ মোজাফরপুর গ্রামে রুবেল মিয়ার বাড়ির সামনে সুপারি গাছে সাথে বেঁধে রাখে হীরা মিয়াকে। আমার অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলেকে নিষ্ঠুরভাবে চড় থাপ্পর মেরে নীলা ফোলা জখমসহ শারীরিক নির্যাতন করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে হীরাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য আকুতি মিনতি করি। কিন্তু আমার ছেলেকে ছাড়ে নাই ও পুলিশের কাছেও দেয় নাই। পরে এমদাদুল হক ভূঁইয়ার হাঁসের হ্যাচারীতে শেকল ও রশি দিয়ে বেঁধে রেখে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত নির্যাতন করেছে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।
এর আগে গত রোববার (১১ জুলাই) রাত রাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মোজাফরপুর মড়লপাড়া গ্রামে মেনু মিয়ার পানি তোলার মটর চুরি করার সময় হাতে নাতে আটক করে হীরা মিয়াকে। গাছে বেঁধে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়। তা কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নজরে আসলে কিশোরকে উদ্ধার করে পুলিশ।
কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ জানান, অবৈধভাবে কিশোরকে আটকে রেখে আঘাত ও নির্যাতনের অভিযোগে মামলা রুজু করার পরপরই বিকেলেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদেরকে জেলার আদালাতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।