মো. সাকের খান (মদন) : ‘আমার থাহার মতো কোনো ঘর ছিল না। ঘর বান্দাইবার মতো জায়গাও নাই। মাইনষের বাড়িতে বহুদিন রইছি। এহন আর আমার মাইনষের বাড়িতে থাহন লাগত না। প্রধানমন্ত্রী আমারে ঘর দিছে। স্বামী সন্তান নিয়ে শেষ জীবনটা সুখে শান্তিতে থাকতাম পারাম। আল্লায় যেন শেখ হাসিনারে বাঁচাইয়া রাখে।
শনিবার (১০ জুলাই) দুপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শণে আসেন জেলা প্রশাসক কাজি আবদুর রহমান । তখন জেলা প্রশাসকের কাছে এসব কথা বলেন মদন আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগী শিরিন আক্তার (৪০)।
উপজেলার মদন ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া গ্রামের হাইউল ইসলামের স্ত্রী শিরিন আক্তার। স্বামী সন্তান নিয়ে মানুষের বাড়িতে বসবাস করতেন। প্রায় ৮ বছর ঢাকায় পোশাক শ্রমিকের কাজ করেছেন। এলাকায় নিজের ঘর বাড়ি না থাকায় বেশীর ভাগ সময় ঢাকায় থাকতেন। করোনাকালীন সময়ে গত বছর পোশাক শ্রমিকে কাজ হারিয়ে নিজ এলাকা মদনে আসেন। কিন্তু থাকার মতো নিজের জায়গা বা ঘর কিছুই না থাকায় মদন গুচ্ছগ্রামের অন্যের আশ্রয়ে থাকতেন। এ বছর প্রধানমন্ত্রী উপহার হিসেবে আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি পাকা ঘর পেয়েছেন তিনি। সঙ্গে পেয়েছেন দুই শতক ভূমি।
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্প দ্বিতীয় পর্যায়ে মদন উপজেলার ৮ ইউনিয়নে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০৫টি গৃহ নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। অধিকাংশ গৃহনির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। এর মধ্যে উপকারীভোগী রয়েছেন ভূমিহীন,গৃহহীন, অস¦চ্ছল,বিধবা, স্বামী পরিত্যেক্তা, প্রতিবন্ধি ও হিজরা।
এ সব ঘরের নির্মাণ কাজ শনিবার (১০ জুলাই) জেলা প্রশাসক কাজী আবদুর রহমান পরিদর্শণ করেন। ঘর নির্মাণ কাজের গুণগত মান এর প্রশংসা করেন তিনি।এ সময় মদন উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ, পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম সাইফ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে সালমা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শওকত জামিল, মদন থানার ওসি ফেরদৌস আলম, সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, স্থানীয় জন প্রতিনিধি ও গণমাধ্যেম কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।