অমৃত চন্দ্র দাস, খালিয়াজুরী (নেত্রকোনা) : বজ্রপাতের আঘাতে নদীতে পড়ে নিখোঁজের ১৮ ঘন্টা পর সুলতান আলী (৪৩) নামে এক মাঝির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নেত্রকোনার খালীয়াজুরী উপজেলায় কৃষ্ণচর এলাকায় সুরমা নদী থেকে ওই মাঝির লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সুলতান উপজেলার কুতুবর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে। তিনি ইঞ্জিন চালিত নৌকার (ট্রলার) মাঝি ছিলেন।
স্থানীয়রা গত শুক্রবার রাতে কয়েকঘন্টা উদ্ধার অভিযানের পর আজ (শনিবার) ৬টার থেকে সুরমা নদীর বিভিন্ন স্থানে ঘের জাল দিয়ে নিখোঁজ মাঝির সন্ধানে ফের কাজ শুরু করে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সুরমা নদীর জাহেরপুর ফেরী ঘাটের পূর্বদিকের প্রায় আধা কি.মি. অদূর থেকে সুলতান আলীর মৃতদেহ স্থানীয় জেলেদের জালে ধরা পড়ে।
মাঝির লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে খালিয়াজুরী থানার ওসি মো. মুজিবুর রহমান বলেন , লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরীর প্রস্তুতি চলমান রয়েছে। অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হবে এবং পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান তিনি।
খালিয়াজুরীর ইউএনও এএইচএম আরিফুল ইসলাম, ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃতদেহ নিতে আগ্রহী পরিবারের লোকজন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন বরাবরে আবেদন করতে বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান মহোদয় প্রশসানের পক্ষ থেকে বিশ হাজার টাকা দিয়েছেন। এই অর্থ নিহতের পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার কৃষ্ণচর এলাকায় সুরমা নদীর জাহেরপুর ফেরী ঘাটে সুলতান তার ট্রলার নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যস্ত ছিলেন। এসময় হঠাৎ বিদ্যুৎ চমকানোর ঘটনা ঘটে এবং বজ্রপাতের আঘাতে তিনি নদীতে পড়ে যান। পরে স্থানীয়রা বৃষ্টি ও নদীর হালকা স্রোতের মধ্যে ওই স্থানে উদ্ধার কার্য পরিচালনা করেন। পরে পুলিশ এসে উদ্ধার কাজে অংশগ্রহণ করে।
কিন্তু রাত পর্যন্ত কয়েক ঘন্টা চেষ্টা করেও সুলতানকে উদ্ধার করা যায়নি এবং এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ থাকেন। অবশেষে আজ (শনিবার) বেলা সাড়ে ১১টার তার মৃতদেহ নদী থেকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা।