মোঃ সাকের খান, মদন (নেত্রকোনা) : মদন উপজেলার বিভিন্ন জায়গা প্রতিনিয়ত মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছেই কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সরকারি নীতিমালা অমান্য করে বছরের পর বছর বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে আসছে। সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব, পাশাপাশি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে রাস্তাঘাট ফসলি জমি গাছপালা ও বিভিন্ন স্থাপনা । বিভিন্ন সময় উপজেলা থেকে আন্দামান আদালত পরিচালনা করা হলেও অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের থামানো যাচ্ছে না
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী সড়ক, কালভার্ট, বিভিন্ন স্থাপনার সর্বনিম্ন এক কিলোমিটারের মধ্যে নদী, খাল ও পুকুর থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা যাবে না।
শনিবার (২০ মার্চ) সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় মদন উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের বটতলী বাজার নেত্রকোনা মদন সড়কের পূর্ব পাশে, বি এ ডি সি শেষ সংলগ্ন থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে ।
এতে ঐ এলাকারবহু কৃষি জমি অনাবাদি থাকার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী, প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলছে না
ড্রেজার মেশিনের মালিক আটপাড়া উপজেলার দোওজ গ্রামের রানা মিয়া ও এমদাদ মিয়া জানান আমাদেরকে জমির মালিক মানিক মিয়া, ও অরূপ দাস, ভাড়া করে নিয়ে আসছে, তারা আমাদের কে জেবাবে দেখাচ্ছে সেভাবেই মাটি উত্তোলন করছি । এভাবে মাটি উত্তোলন করায় অন্যের ক্ষতি হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন ক্ষতি হলে আমার কিছু করার নেই।
জমির মালিক মানিক মিয়ার, সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এটা আমাদের জমি গত বছর এই জায়গা থেকে মাটি উত্তোলন করেছি এবছরও বেশ কয়েক জনের কাছে মাটি বিক্রি করছি। এখান থেকে বালু উত্তোলনের কারণে অন্যের কৃষি জমি নষ্ট হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো উত্তর দেননি , অপর মালিক অরূপ দাস এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাশের জমির মালিকরা জানান মানিক মিয়া অরূপ দাস আলমগীর সহ কয়েক জন বটতলী এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে এতে আমাদের কৃষি জমি হুমকির মুখে রয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধ ড্রেজার মেশিন রয়েছে। এসব মেশিনের মালিক উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে বালু উত্তোলন করছে। কয়েকজন ড্রেজার মেশিন মালিক জানান, গ্রামগঞ্জের রাস্তা ও বিভিন্ন স্থাপনা তৈরির কাজে ঠিকাদাররা তাদের মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করান। সেটা প্রশাসনের বড় স্যাররা দেখেন, কিন্তু কোনোদিন বলেননি অবৈধ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার বেশ কয়েকজন বলেন, মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন এবং পাহাড় কাটা সম্পূর্ণ অবৈধ। বালু উত্তোলন করতে হলে সরকার স্বীকৃত নির্ধারিত মহাল থেকে উত্তোলন করতে হবে। মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে জমি থেকে বালু উত্তোলন করলে রাস্তাঘাট, ফসলি জমি, গাছপালা, বিভিন্ন স্থাপনা ও পরিবেশ মারাত্মক হুমকিতে পড়বে
মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ বলেন, বটতলা বাজারের দিকে মদন নেত্রকোনা রোডের পূর্ব পাশে জমি থেকে মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি জানা গেছে, সেটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।