কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি হিমাংশু কুমার নন্দী ও প্রধান শিক্ষক মো. সিদ্দিকুর রহমান খানের বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ১৬টি ল্যাপটপ আত্মসাতের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
বুধবার (১০ মার্চ) দুপুরে নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক মো. জয়নাল আবেদীন। বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির প্রাক্তন সভাপতি চয়ন কান্তি ঘোষ, দাতা সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ বাচ্চু।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, অত্রাঞ্চলে শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে এলাকার কতিপয় শিক্ষানুরাগী ১৯৭৩ সালে কৈলাটী বাজার এলাকায় মনোরম পরিবেশে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর থেকেই বিদ্যালয়টি এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আসছিল। মো. সিদ্দিকুর রহমান খান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই বিদ্যালয়ের সভাপতির সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে তাদের যোগসাজশে নানা অনিয়ম দুর্নীতি শুরু হয়। তারা বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরীকে তাদের কথা মতো কাজ না করায় মিথ্যা অভিযোগে তাকে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন।
বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য ১৭টি ল্যাপটপ দিয়ে শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব চালু করে। বিগত ২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী রাতের আধারে ১৬টি কম্পিউটার এবং বিদ্যালয়ের আয় ব্যায়ের খাতা উধাও হয়ে যায়। তাদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও কম্পিউটারগুলি উদ্ধারে সচেষ্ট না হয়ে বরং এটিকে চুরির ঘটনা সাজিয়ে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তারা বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক কর্তৃক আত্মসাতকৃত ১৬টি ল্যাপটপ উদ্ধার এবং তাদের নানা অনিয়ম দুর্নীতি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানান।