মদনে পুলিশের এসআই ও এএসআই এর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

Date:

Share post:

মো. সাকের খান, মদন (নেত্রকোনা) : নেত্রকোনার মদন থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাউল ইসলাম ও সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (৩ মার্চ) নেত্রকোনা পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করেছেন উপজেলার ফতেপুর গ্রামের জামাল ভূঁইয়া।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ফতেপুর বাজারে স্বনামধন্য ব্যবসায়ী জামাল ভূইয়ার চাচাতো ভাইয়ের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী তানিয়া আক্তার শিপার অভিযোগের তদন্ত করতে গত ২২ ফেব্রুয়ারি কামরুল ইসলাম ভূঁইয়ার বাড়ীতে যান এসআই আশরাউল ইসলাম ও এএসআই আসাদুজ্জান। তার বাড়ীতে কথাবার্তা শেষ করে জামাল ভূঁইয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফতেপুর হাটশিরা বাজারে গিয়ে কথা বার্তার এক পর্যায়ে মদন থানার এসআই আশরাউল ইসলাম ও এ সআই আসাদুজ্জামান বলেন, ১ লক্ষ টাকা দিলে তানিয়ার সাথে আপোষ মীমাংসা করে দিবেন।

অন্যতায় তানিয়ার পক্ষে প্রতিবেদন দিবেন। তখন জামাল ভূঁইয়া বলেন, আপনারা পক্ষপাতিত্ত্ব করছেন কেন সঠিক বিষয়টি তদন্ত করে দেখেন। তখন তারা তার সাথে অশালীন ভাষায় গালাগালি করে হুমকি প্রদান করেন।

এসময় জামাল ভূঁইয়া তাদেরকে বলেন, পুলিশ প্রশাসনে আমাদেরও আত্মীয়-স্বজন আছে। আমার চাচাতো ভাই আলী আশরাফ বগুড়ার পুলিশ সুপার। এ কথা বলার পর ক্ষীপ্ত হয়ে তারা বলেন, বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভাই আমাদেরকে ভালো করে চেনেন। আপনি তার কাছে আমাদের কথা বলিয়েন।আমি তাদেরকে বললাম, একজন পুলিশ সুপারকে কিভাবে ভাই বলে সম্বোধন করেন। পরে তারা আমাকে অশালীন ভাষায় গালমন্দ করতে থাকেন।

এছাড়াও অভিযোগে আরও জানা যায়, জামাল ভূইয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সিসি ক্যামেরায় নিয়ন্ত্রিত। তাদের নিকট চাঁদা দাবি ও অসৌজন্যমূলক আচরণের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ রয়েছে। তিনি আরো উল্লেখ করেন, চাঁদার টাকা না দিলে আমাদেরকে মাদকদ্রব্য দিয়ে থানায়় ধরে নিয়ে যাওয়ার হুমকি প্রদান করেন। এরপর থেকে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

অভিযুক্ত মদন থানার এএসআই আসাদুজ্জামান বলেন, ফতেপুরের কামরুল ইসলাম ভূঁইয়ার স্ত্রীর অভিযোগের তদন্তের জেরে এই অভিযোগটি করেছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

অভিযুক্ত মদন থানার এস আই আশরাউল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, আমি তানিয়ার অভিযোগের তদন্তে গিয়েছিলাম এবং জামাল ভূঁইয়ার দোকানেও গিয়েছিলাম এ রকম কোন ঘটনা ঘটেনি। তানিয়ার বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই তারা এই অভিযোগটি করতে পারে।

নেত্রকোনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী মুঠোফোনে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, মদন থানার এসআই ও এএসআই এর বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির একটি অভিযোগ পেয়েছি। অনুসন্ধান করা হবে। অনুসন্ধানের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

Related articles

মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ যুবকের মৃতদেহ ভাসল ২ দিন পর

নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সোমেশ্বরী নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ আদিবাসী যুবক রুয়েল রিছিল (২৮) এর মৃতদেহ...

নেত্রকোনা সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনা সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মারুফ হাসান খান অভ্রকে (৫৫) ঢাকা (রাজধানী) থেকে গ্রেফতার করা...

দুর্গাপুরে পানিতে ডুবে এক বৃদ্ধের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় পানিতে ডুবে রুসমত খান (৬০) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। গত সোমবার (০৭...

শহীদ আবরার ফাহাদ স্মরণে পূর্বধলায় মৌন মিছিল

মোঃ জুবায়েদ হোসেন বাচ্চুঃ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে নির্যাতনে নিহত শহীদ আবরার ফাহাদের ৫ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে মিছিল ও স্মরণ...