মো. সাকের খান, মদন (নেত্রকোনা) : নেত্রকোনার মদন উপজেলায় চাঁদাবাজি মামলার জেরে দুপক্ষের সংঘর্ষে পুুলিশসহ আহত হয়েছেন প্রায় ২৫ জনের মতো। বুধবার দুপুর ১২টা থেকে প্রায় তিনঘন্টা ব্যাপী উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে সামনের কান্দায় দুপক্ষের মাঝে মুখোমুখি সংঘর্ষ বাঁধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার চাঁদা না পেয়ে ওই ইউনিয়নের জনতা বাজারে মঙ্গলবার দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় মাঘনা গ্রামের সোহেল মিয়া বাদী হয়ে ৮ জনের নামসহ অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনকে আসামি করে ওইদিন রাতে মদন থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলাকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুরে দুপক্ষের মখোমুখি সংঘর্ষের নারী ও পুলিশসহ প্রায় ২০-২৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ ঘটনায় মোজাম্মেল (২৫), রোকেল (৩০), মোজাম্মেল (৩৫) তিনজনকে মদন হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এছাড়া আবু সায়ীদ (৫০), সবুজ (৫৮), এবাদুল (৬৫), আব্দুর রহমান (২২), রহিজ উদ্দিন (৫০), সবুজ মিয়া (৬৫), খসরু (৪০), এনামুলসহ অন্যান্য আহতরা মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন স্থানীয় জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট নায়েকপুর ইউপি’র চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান রোমান সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন বিকেলের দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।
মদন থানার ইনচার্জ মাসুদুজ্জামান জানান, জনতা বাজারে দোকানঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার দোকানপাট, ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় চাঁদাবাজি ও লুটপাটের মামলার জের ধরে বুধবার পুনরায় সংঘর্ষ বাঁধে।
এ সংঘর্ষে কনস্টেবল আরিফ খানসহ কমপক্ষে ২০-২৫ জন আহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়েছে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে বলে তিনি জানান।