শিমুল শাখাওয়াতঃ
করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে অপেক্ষার পালা শেষ। আজ রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশে একযোগে ১০০৫টি কেন্দ্রে টিকাদান কর্মসূচী শুরু হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত উপজেলার মোট ৩৬০ জনের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। ১ ভায়াল কোভি -১৯ ভ্যাকসিন এর মাধ্যমে ১০ জনকে টিকা দেয়া যায়। তাই প্রথম ধাপে ১০ জনের নামের তালিকা প্রস্তুত করে তাদের করোনা ভাইরাসের টিকা প্রদান করা হয়েছে।
১ম ধাপে ভ্যাকসিন প্রাপ্তরা হলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদা আখতার, ডা. আজহারুল ইসলাম, মতিউর রহমান খান পাঠান, পূর্বধলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ আরিফুজ্জামান, নিরঞ্জন কুমার ভাদুড়ী প্রমুখ। এছাড়াও আজ মোট ১০৫ জনকে টিকা প্রদানের পরিকল্পনা রয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে কুলসুম। সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারমিন সুলতানা সুমি, পূর্বধলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: জায়েজুল ইসলাম, সিনিয়র সদস্য শফিকুল আলম শাহীন, জুলফিকার আলী শাহীন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। ওইদিন টিকা নেওয়া ২৬ জন এবং পর দিন টিকা গ্রহণকারী ৫৪১ জনের সবাই সুস্থ আছেন।
বর্তমানে স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে অক্সফোর্ডের টিকার ৭০ লাখ ডোজ মজুদ আছে। প্রত্যেককে দুই ডোজ হিসাব করে প্রথম ৩৫ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী সরকার প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা পাবে। এভাবে কেনা টিকার আরও দুই কোটি ৫০ লাখ ডোজ আসবে। এর মধ্যেই কোভ্যাক্সের টিকার একটি বড় ডোজ চলে আসবে। ওই টিকা হাতে আসার পর পরিকল্পনায় আবার পরিবর্তন আনা হবে।
প্রথম ধাপে ১৫ ক্যাটাগরির মানুষ টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন মহামারি মোকাবিলায় নিয়োজিত সরকারি-বেসরকারি চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী, ৫৫ বছরের ওপরে বয়সী জনগোষ্ঠী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, বিচার বিভাগ, মন্ত্রণালয়, সচিবালয়, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, শিক্ষাকর্মী, ব্যাংক-বীমার কর্মী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অগ্নিনির্বাপণকর্মী, এনজিওকর্মী, দাফন ও সৎকারকর্মী, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ কাজে যুক্ত ব্যক্তি।