পূর্বধলা প্রতিনিধি: নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার বিশকাকুনি ইউনিয়নের নিঃসন্তান, অসহায়, বিধবা লাকী বেগম (৬৫) এবার জরাজীর্ণ কুঁড়ো ঘর ছেড়ে টিনের ঘর থাকবেন। আর এ নতুন টিনের ঘরটি নির্মাণ করে দিলেন সেচ্ছাসেবী সংগঠন দিলরুবা হাবিব শিক্ষা ফাউন্ডেশন। কিছুদিন পূর্বে লাকী বেগমের কাপড়ে মোড়ানো ঘরটি ছবিসহ পূর্বধলা হেল্প লাইনে আজিজুল বারী শরিফ নামের এক ব্যক্তি পোস্ট করেন।
উক্ত পোস্টটি দিলরুবা হাবিব শিক্ষা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান উসমান গণি সুমনের নজরে আসলে সাথে সাথে তিনি ঘরটি তৈরী করে দিবেন বলে আশ্বস্ত করেন। পরে শনিবার (৩০ জানুয়ারী ) দুপুরে সেই অসহায় বৃদ্ধাকে ঘর তৈরী করে দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পূর্বধলা হেল্পলাইনের ক্রিয়েটর এডমিন নোমান শাহরিয়ার, সাংবাদিক মোস্তাক আহমেদ খান, মডারেটর আব্দুল্লাহ আল মামুন, নাহিদুল ইসলাম আলম, রবি আহাম্মেদ, আজিজুল বারী শরিফ ও স্থানীয় এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, পূর্বধলা উপজেলার বিশকাকুনি ইউনিয়নের কোনাডহর গ্রামের লাকী বেগম নিঃসন্তান, অসহায়, বিধবা, তিনি জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করে আসছিলেন।মানুষের বাড়িতে কাজ করেন মাঝে মাঝে বাশেঁর আসবাবপত্র তৈরি করে বিক্রি করেন কোনরকম মানবেতর জীবন-যাপন করে আসছিলেন। সম্প্রতি এ খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে তারপর দিলরুবা হাবিব শিক্ষা ফাউন্ডেশনের সদস্যরা সরেজমিনে গিয়ে নতুন ঘর নির্মাণ করে দেয়।
স্থানীয়রা বলেন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দিলরুবা হাবিব শিক্ষা ফাউন্ডেশন অসহায়দের জন্য কাজ করে মানবতার পরিচয় দিয়েছে। প্রতিটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এভাবে কাজ করলে অবহেলিত মানুষের পাশে এগিয়ে আসলে সুন্দর একটি সমাজ গড়ে উঠবে।
এ সময় স্বেচ্ছাসেবী আব্দুল্লাহ আল মামুনের কাছে ফাউন্ডেশনের উদ্দেশ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা অসহায় দরিদ্র এতিম শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করে থাকি,যারা অর্থের অভাবে পড়াশোনা করতে পারছেনা আমরা তাদের এককালীন একটা শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে থাকি, যেনও টাকার অভাবে কোন মেধাবী শিক্ষার্থী পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত না হয়। পাশাপাশি আমরা শীতবস্ত্র বিতরণ, ঘর, দোকান তৈরী করে দিয়েছি, আমরা বিশ্বাস করি সৃষ্টির সেবাই স্রষ্টার সেবা।