মো. সাকের খান, মদন (নেত্রকোনা) : নেত্রকোনার মদন উপজেলার খাগুড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে কোর্টের স্থগিতাদেশ থাকার পরও চারটি পদে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ করেছেন স্কুল ছাত্রের এক অভিভাবক।
জানা যায়, খাগুড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকের পদটি ১৫ বছর যাবত খালি রয়েছে। সহকারি প্রধান শিক্ষক পদটি স্কুল প্রতিষ্ঠাকালের পর থেকেই খালি রয়েছে।
এই পদগুলিতে বেশ কয়েকবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলেও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেনি মামলা জটিলতার কারণে। স্কুলে প্রায় ৯শ জন ছাত্র-ছাত্রী।
বুধবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, স্কুল কমিটির সভাপতির কার্যক্রম স্থগিতাদেশের জন্যে এ কে লিটন নামের একজন স্কুল ছাত্রের অভিভাবক নেত্রকোনা জজ কোর্টে, মদন সহকারী জজ আদালতে সভাপতি পদ বাতিল চেয়ে একটি মামলা দায়ের করেন, মামলা নং ১৮/২০২০ ইং।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালত সভাপতির কার্যক্রম স্থগিতাদেশ দিয়েছে। সবকিছুকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে স্কুল কমিটির সভাপতি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার যোগসাজশে নিয়োগ প্রক্রিয়া তড়িঘড়ি করে সম্পন্ন করার পাঁয়তারা করেছেন। নেত্রকোনাা জজ কোর্ট মিস আপিল নং ৩৮/২০২০ একটি মামলা রয়েছে।এরই প্রেক্ষিতে জেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছেন স্কুল ছাত্রের অভিভাবক এ কে লিটন।
এই অভিযোগ কেও উপেক্ষা করে ৮ ডিসেম্বর উপজেলা জাহাঙ্গীরপুর সরকারী টি, আমিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে অনৈতিকভাবে চারটি পদের বিপরীতে ৪ জনকে মনোনীত করেন। ফরিদ আহাম্মদ কেন্দুয়া উপজেলার রায়পুর পিছহাতি দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ওই মাদ্রাসায় প্রায় ১০ বছর যাবত কর্মরত আছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক ও অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, চারটি পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য অনৈতিকভাবে স্কুল কমিটির সভাপতি ফরিদ আহমদ প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য পদের বিপরীতে কয়েক জনের কাছ থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বিশেষ করে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে মনোনীত প্রার্থীর কাছ থেকে সাত লক্ষ টাকা নিয়েছেন সভাপতি।
স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ফরিদ আহমেদ বলেন, আমি হাইকোর্ট থেকে স্থগিতাদেশ এর বিরুদ্ধে একটি আদেশ নিয়েছি। এক্ষেত্রে আমার কার্যক্রম পরিচালনা কোন বাধা নেই। এছাড়াও টাকা নেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে, তিনি সদুত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান। তিনি আরোও বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যম সংগঠনকে ম্যানেজ করে নিয়েছি আপনারা লিখলেও কিছু হবে না।
খাগুড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রহমত উল্লাহ জানান সভাপতি স্থগিতাদেশ হাইকোর্ট থেকে কার্য পরিচালনার জন্য একটি আদেশ নিয়েছেন চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন টাকা লেনদেনের ব্যাপারে আমি কিছু জানি না কমিটি নিয়ে থাকলে সেটা তাঁরাই ভালো জানে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার সঙ্গে হয়েছে স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি স্থগিতাদেশের ব্যাপারে জানতে চাইলে
তিনি বলেন শুনেছি সভাপতি হাইকোর্ট থেকে কার্য পরিচালনা করার জন্য একটি আদেশ নিয়েছে। তিনি বলেন প্রধান শিক্ষক পদে তিনজন আবেদন করেছিল আমার মনে হয়েছে য়িনি মনোনীত হয়েছেন বাকি দুজনকে তিনি মেনজ করে আবেদন করিয়েছেন। নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল গফুরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাকে না পাওয়ার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।