কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় সোমেশ্বরী নদীতে অবৈধ বাংলা ড্রেজার বন্ধে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতের উপর হামলা করেছে বালু শ্রমিকরা। এতে ইটপাটকেল নিক্ষেপে ভ্রাম্যমান আদালতের গাড়ী ভাঙচুর ও পুলিশ সহ ছয়জন আহত হয়েছেন। আহতরা সকলে দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
বুধবার দুপুর ২টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নারায়ন চন্দ্র বর্মনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত সোমেশ্বরী নদীর এক নম্বর বালু ঘাটে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত বাংলা ড্রেজার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার জন্য যায়। এতে বালু ঘাটের শ্রমিকরা ড্রেজার উচ্ছেদে বিরোধীতার করে ভ্রাম্যমান আদালতের উপর হামলা করে। অতর্কিত এ হামলায় শ্রমিকদের ইটপাটকেল নিক্ষেপে ভ্রাম্যমান আদালতের পিক-আপ গাড়ীটি ভাঙচুরে ক্ষতি সাধিত হয় এবং পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সহ তিনজন, ভূমি অফিসের দুইজন ও একজন শ্রমিক আহত হয়েছেন।

আহতেরা হলেন, দুর্গাপুর থানার এসআই রুকন উদ্দিন (৪০), কনস্টেবল খলিলুর রহমান (৫৫), কনস্টেবল রুবেল মিয়া (৩০), ভূমি অফিসের কর্মচারী নজরুল ইসলাম (৪৫), এরশাদুল ইসলাম (৩২) ও বালু ঘাটের শ্রমিক রফিক ৩৫)। তারা সকলে দুর্গাপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পরে হামলার খবর পেয়ে বিকেলের দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা খানম ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নারায়ন চন্দ্র বর্মন, দুর্গাপুর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার মাহমুদা শারমিন নেলী, ওসি শাহনুর-এ আলম সহ টাস্কফোর্সের সদস্যগন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রায় ৫০টি অবৈধ বাংলা ড্রেজার ধ্বংস করেন। সেইসাথে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বালু ঘাটের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন তারা।

এ ব্যাপারে দুর্গাপুরের ইউএনও ফারজানা খানম জানান, আমার দুজন কর্মচারী আহত হয়েছে। এই মুহুর্তে জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ে রয়েছি। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে মিটিংয়ের পর সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
দুর্গাপুর থানার ওসি মো. শাহনুর-এর আলম বলেন, এক এসআই সহ পুলিশের তিনজন আহত হয়েছেন। তারা সকলে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে তিনি জানান।