কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় পৌর শহরে সোমেশ্বরী নদীর ৩নং বালু ঘাট বা মহালের বিভিন্ন বিষয়াদি বারংবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনওকে) জানানোর পরও প্রতিকার না পেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইজারাদার ঝুলন কুমার সাহা’র সহকর্মী মনোয়ার হোসেন মাসুম। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে দুর্গাপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
এ সংবাদ সম্মেলনের তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ১৪২৭ বাংলা সনের ১ বৈশাখ হতে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত এক বছরের জন্য ১২ কোটি চার লক্ষ টাকায় ৩নং বালুমহালটি ইজারা নেন। কিন্তু কোভিড-১৯ এর কারণে দুইমাস বিলম্বে আমাকে কার্যাদেশের মাধ্যমে ৩৪১.০৬ একর বালি মহালটির আংশিক সীমানা নির্ধারণ করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। বালুমহাল বুঝে পাওয়ার পর থেকেই স্থানীয় ভূমি দস্যু, অবৈধ দখলদার, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজদের অনৈতিক ও বেআইনী কর্মকান্ডে বালু উত্তোলন কার্যক্রম প্রতিনিয়তই মারাত্মকভাবে ব্যহত হচ্ছে।
পূর্বের ইজারাদারগণ নদী প্রবাহে সম্পূর্ণ বালু উত্তোলন করে ফেলায় বর্তমানে ওই বালুমহালটি একেবারেই বালু শূন্য অবস্থায় আছে। কিছু পরিমাণ বালু আমার ইজারা সীমানার মধ্যে নদীতীরে চরাঞ্চলে যেখানে বিদ্যমান আছে সেখান থেকেও স্থানীয় অবৈধ দখলদারদের চাঁদা দাবী, অনৈতিক বাঁধার কারণে বালু উত্তোলন করা একেবারেই সম্ভব হচ্ছে না।
বিষয়গুলো নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়কে বারবার জানালেও অজ্ঞাত কারণে তিনি এসকল বিষয়ে সমাধান দিতে পারেন নাই। নানান অজুহাতে কাল ক্ষেপন করছেন। তা আমাদের বোধগম্য নয়? এ ধরনের সমস্য সহ আর্থিক ক্ষতির বর্ণনা তুলে ধরেন ইজারাদারে সহকর্মী।
দুর্গাপুরের ইউএনও ফারজানা খানমের সাথে ফোনে এ সকল বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বড় সমস্যা হলো এসএ ও আরএস দাগের সমন্বয় নাই। তফসিল হয়েছে এসএ দাগ অনুযায়ী। বর্তমানে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে ওই স্থানে বাড়ি-ঘর হওয়াতে সমস্যা তৈরি হয়েছে। বাড়ি-ঘরের মধ্যে ড্রেজার বসাতে দিতে পারি না।
ওই ইজাদারকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে সাপোর্ট করা হয়েছে তা অন্য কোন ঘাট বা বালুমহাল ইজাদারদেরকে সে রকম সহযোগীতা করা হয়নি। তারপরও তিনি সন্তোষ্ট না, এটা একটা বড় সমস্যা। নতুন করে ঘাট মাপতেছি, সামনের বার এসএ ও আরএস দাগ সমন্বয় করে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।