সাকের খান : নেত্রকোনার মদন উপজেলার ঘাটুয়া গ্রামের অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী (১৬) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রবিবার ভোরে সন্তান প্রসব করেছে। সে উপজেলা ঘাটুয়া গ্রামের লাল চাঁন মিয়ার মেয়ে।
জানা যায়, ধর্ষণের স্বীকার কিশোরীর সাথে প্রতিবেশী প্রভাবশালী নয়ন তালুকদারের ছেলে রবি মিয়ার (১৮) মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। এরই মাঝখানে ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ইং তারিখে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেন ধর্ষক। পরে কিশোরীর শারীরিক গঠন পরিবর্তন ঘটতে থাকলে প্রেমিক রবি মিয়াকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়। বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে তার পরিবারের লোকজনের কাছে ঘটনা স্বীকার করে।
এরই প্রেক্ষিতে গত ১৬ জুন তারিখে মদন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে ১৯ জুন তারিখে ধর্ষক রবি মিয়াকে আটক করে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করে মদন থানার পুলিশ। প্রধান আসামি এখন ও জেলহাজতে রয়েছে।
ধর্ষিতা কিশোরী বলেন, আমি ও আমার সন্তানের নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। আমার সন্তানের নিরাপত্তাসহ তার বাবার স্বীকৃতি চাই।
ধর্ষিতার বাবা লাল চাঁন মিয়া বলেন, রবিবার (১৫ নভেম্বর) ভোর ৫টার দিকে আমার মেয়ে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি ছেলে সন্তান প্রসব করেছে। আমরা গরীব মানুষ কি করবো ভেবে পাচ্ছিনা। ছেলের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় আমাদেরকে বিভিন্ন সময় মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি ধমকি দিচ্ছে। আমার মেয়ে এবং নাতিকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি আমার মেয়ে এবং নাতির সামাজিক স্বীকৃতি চাই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ জসিম বলেন, বিষয়টি জানি না। তবে ডিসেম্বরের ৫ তারিখে সন্তান প্রসবের সময় ছিল। তাছাড়া আমি নিয়মিত খোঁজখবর রাখছি। আসামি আটক এর ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধান আসামিকে আটক করা হয়েছে অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।