মো. সাকের খান : “ডেইলি পূর্বময়” অনলাইন পত্রিকা কাবিখা প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে শিরোনামে ৪ নভেম্বর প্রকাশিত হওয়ার পর বুধবার (১১ নভেম্বর) বয়রা হালা নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মাধ্যমে প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির অধীনে টেস্ট রিলিফ (টিআর), কাবিখা ও কাবিটা কর্মসূচির প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায় ১৬২টি প্রকল্পের মাধ্যমে ৬৯ লাখ ৫৭ হাজার ৩১৫.৭২টাকা এবং ২৪৭.২৪১৬ মেঃ টঃ গম বরাদ্দ দেয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়।
চানগাঁও ইউনিয়নের মৈধাম গ্রামের গোলাম আকবরের পুকুরপাড় হইতে বাবুল মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তার মাটিকাটা প্রকল্পটি কাবিখা ১৯-২০ অর্থবছরের দ্বিতীয় পর্যায়ে বরাদ্দ হয়েছিল। সেই প্রকল্পের কাজ করার মেয়াদকাল ৩০ জুন ২০২০ ইং তারিখে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। অভিযোগ হওয়ার পরও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর তড়িঘড়ি করে বয়রা হালা নদী থেকে অনুমোদনবিহীন ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে রাস্তার কাজ শুরু করেছে।
ড্রেজার মালিক টিটু ভূঁইয়া জানান, প্রকল্পে বালু দিয়ে ভরাট করার জন্য আমাদেরকে আনোয়ার মেম্বার ভাড়ায় নিয়েছে অনুমোদনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা আনোয়ার মেম্বার জানে।
প্রকল্প সেক্রেটারি ও ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, আমরা ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি থেকে বালু উত্তোলন করছে এজন্য প্রশাসনিক অনুমোদন নেয়নি।
মদন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ এর নিকট অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এক অপরাধ ঢাকতে গিয়ে অন্য অপরাধ করলে ছাড় দেওয়া হবে না।