মোছাঃজান্নাতী বেগম: বাংলাদেশে করোনা আক্রমণ করার পর থেকে এ নিয়ে তিন বার করোনায় আক্রান্ত হলো নিহার রঞ্জন দাস নামের এক চিকিৎসক। তিনি ঢাকা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের চিকিৎসক।
নিহার রঞ্জন দাস বলেন,করোনার ফলে আমার মাংসপেশি এবং মেরুদণ্ডতে ব্যথা,গলা খুসখুস, জ্বর শুরু হয়।তৃতীয় বার আক্রান্ত ভাইরাসটি নতুন নাকি আগের ভাইরাস তা জানার জন্য গবেষণা চলছে।এজন্য দ্বিতীয় বার আক্রান্ত আর ও ২০জন স্বাস্থ্য কর্মীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে গবেষণার জন্য।
আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা.এ এস এম আলমগীর বলেন, যখন শরীরে ভাইরাসটি মরে যায়, তার প্রেগমেন্টগুলো শরীরে অনেকদিন থেকে যায়। তখন যদি আমরা আবার তাকে পরীক্ষা করাই তখন কিন্তু পজিটিভ আসবে।এর মানে কিন্তু দ্বিতীয়বার সংক্রমণ নয়।
চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড.সমীর সাহা বলেন, “তার প্রথম দুইবার ভাইরাসের সংখ্যা খুবই কম ছিলো। আর যখন ভাইরাসের সংখ্যা কম থাকে তখন তা ঠিকমতো ধরা যায় না।আমরা তার রক্ত পরীক্ষা করে দেখছি,তা দেখে আমরা বুঝতে পারবো তার এন্টিবডি কখন অবস্থায় ছিলো। আমাদের কাছে আরও ২০টি এমন কেইস আছে,সেগুলো আমরা পরীক্ষা করে দেখছি। “
অনুজীব বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড.বিজন কুমার শীল বলেন,”করোনা থেকে মুক্ত হওয়ার পরও যদি এন্টিবডি তৈরি না হয় এর বিভিন্ন কারন থাকতে পারে।একটি হচ্ছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কাজ করছে না,অথবা এমন কোনো ওষুধ খেয়েছেন যা এই ক্ষমতা কে কাজ করতে দিচ্ছে না।তাই আমার মতে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধই খাওয়া ঠিক নয়।”
গবেষকদের কাছ থেকে জানা যায়, অনেকসময় মৃত কোস পিসিআর পরীক্ষায় পজিটিভ আসতে পারে কিংবা অতিরিক্ত অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ সেবনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া আক্রান্তের একটি কারণ হতে পারে।