বাবলী আকন্দঃ রফিকুল ইসলাম তার ঘরে পানি,তার দুজন ছোট ছোট ছেলেমেয়ে। সারাদিন চৌকির উপর বসে থাকে। ঘরে পানি থাকায় তারা নেমে বের হতে পারে না। খেলাধুলা করতে পারে না। ঘরে পানি থাকায় জ্যোৎস্না বেগম চৌকির উপর রান্না বান্না করছেন,উঠানের চারদিকে পানি। বাসার একমাত্র টিউবওয়েলটির চারপাশে পানি। জ্যোৎস্না যখন রাতে ঘুমাতে যায় তখন তার ছেলেমেয়েদের নিয়ে জড়াজড়ি করে বুকে নিয়ে ঘুমায়। কখন যেন রাতে চৌকি থেকে পানিতে পড়ে যায় এই ভয়ে। বিষাক্ত পোকামাকড় আর সাপের ভয়ও তো আছেই।
জমিলা প্রায় দেড়কাঠা জমির উপর টমেটো চাষ করতেন। জলাবদ্ধতার কারণে তার এবার সব নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতির মুখে পড়েছে তার পরিবার।
ঠিক এমনিভাবে ময়মনসিংহ শহরের সদর উপজেলার ৬ নং চর ঈশ্বরদিয়া ইউনিয়নের ৪ টি গ্রাম চর আলালপুর,চর হরিপুর,চর লক্ষীপুর, বাজিতপুরসহ চর বড়বিলার হাজার হাজার মানুষ জলাবদ্ধতায় বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অবৈধভাবে খাসজমি দখল করার কারণে এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান মোঃ হালিম। সেজন্য অবৈধভাবে খাসজমি দখল করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে আজ চরঈশ্বরদিয়া ইউনিয়নের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি করে ৬ নং ইশ্বরদিয়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ ।
বক্তাগণ বলেন, অবৈধ খাসজমি দখল করে রাখায় শত শত হেক্টর ফসলি জমি পানির নিচে থাকায় ফসল উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এবারের খাদ্য সংকটে পড়বে হাজার হাজার পরিবারগুলো।
হাজী ওমর আলী, ফজলুর রহমান, খলিলুর রহমান, লেচু ব্যাপারি,,হোসেন, মোহাম্মদ, আবুল হাসেম, শামসু, আবুল কাশেম ওরফে লাদেন, মৃত মনির উদ্দিনের পুত্রগণ নাম লিখে এরা খাসজমি দখল করেছে এবং এদের শাস্তি চেয়ে বিক্ষোভ করে ইউনিয়নবাসী।
গ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনের ব্যবস্থাসহ অবৈধ খাসজমি দখলমুক্ত করণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন, না হলে অচিরেই কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবেন ইউনিয়নবাসী বলে তারা জানান।