পূর্বধলা প্রতিনিধি: নেত্রকোণার পূর্বধলায় লিপি আক্তার (৩৫) নামের গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যাকারীর ফাঁসির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন। বুধবার (৭ অক্টোবর) পূর্বধলা প্রেসক্লাব হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জায়েজুল ইসলামের সঞ্চালনায় লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ফেরদৌসি বেগম।
সম্প্রতি পূর্বধলায় গলাকেটে লিপি আক্তার নামে যে, গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে আমি তারই বড় বোন আবার আমি লিপি আক্তারের স্বামী আজিজুল ইসলামের বড় ভাই মো: নজরুল ইসলামের স্ত্রী। আমি চাকুরীর সুবাধে ময়মনসিংহে অবস্থান করি। গত ৪ই অক্টোবর রাত্র আনুমানিক ৩টার দিকে হঠাৎ আমার স্বামীর মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। আমার বোন লিপি আক্তারকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে।
তাৎক্ষণিক আমি ও আমার স্বামী মোটরসাইকেল যোগে ময়মনসিংহ থেকে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই। আনুমানিক বেলা ১২টা থেকে ০১টা পর্যন্ত বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমার সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। তখন আমি মানসিক ভাবে বিপর্যস্থ ছিলাম। লিপি আক্তারের বারো বছরের একটি ছেলে রয়েছে। লিপি আক্তার ও তার স্বামী মো: আজিজুল ইসলামে দাম্পত্য জীবন সুখের ছিল। তার সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে মায়ের মৃত্যু সম্পর্কে জানতে পারি। মৃত লিপি আক্তারকে শেখ রাসেল বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় এবং মোবাইল ফোনে উত্যক্ত করত ও কু-প্রস্তাব দিত। শেখ রাসেলের কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় লিপি আক্তারকে মৃত্যু বরণ করতে হয়।
ঐদিন ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় পরকীয়া সম্পর্ক সংক্রান্ত যা প্রকাশ করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। আমি তার প্রতিবাদ জানাই ও লিপি আক্তারের একমাত্র ছেলে সন্তান এস এম আলিফ এর সুরক্ষার জন্য সরকারের কাছে সার্বিক সহযোগীতা কামনা করছি। আমি সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানাই যে, এই খুনের সুষ্টু তদন্তকরে দ্রুত খুনির ফাঁসি কার্যকর করা হয়। উল্লেখ্য আমার ভগ্নিপতি মো: আজিজুল ইসলামের বরাত দিয়ে ঘটনার এক সপ্তাহ আগে তাদের দাম্পত্য কলহের জেরে যে দরবার কথা বলা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। বিষয়গুলো গণমাধ্যমে তুলে ধরার জন্য অনুরোধ করছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রেসক্লাবের ও রিপোর্টার্স ক্লাবের সদস্যবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, গত রোববার (০৪ অক্টোবর) ভোর রাতে লিপি আক্তার নামের ওই গৃহবধূকে পূর্বধলা পশ্চিম পাড়া গ্রামে বিজিবি সদ্যস্য আজিজুল ইসলামের নিজ ঘরে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ সময় ওই ঘরে গলা কাটা অবস্থায় লিপির চাচাত দেবর রাসেল মিয়াকে পাওয়া যায়। বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। এ সময় বিজিবি সদস্য তার কর্মস্থল পঞ্চগড়ে অবস্থান করছিলেন। আলিফ নামের তাদের ১২ বছরের এক ছেলেকে নিয়ে লিপি বাড়িতেই থাকতেন।