কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : সারাদেশব্যাপী সংগঠিত হত্যা, ধর্ষণের প্রতিবাদে নেত্রকোনায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচী পালন করেছে সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দ। সোমবার দুপুরে নেত্রকোনা জেলা ছাত্র ইউনিয়ন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সচেতন শিক্ষাথীবৃন্দ এ কর্মসূচীতে অংশ গ্রহণ করেন। এতে চার বৎসরের একটি শিশু গলায় ‘ধর্ষকদের ফাসী চাই’ প্রে-কার্ড গলায় ঝুলিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচীতে অংশ নেন।
বিক্ষোভে জেলা প্রশাসকের বক্তব্য চলাকালে নেত্রকোনা বারের সভাপতির বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী এক শিক্ষার্থীদের ধাক্কা ও টানা হেচড়া করলে এক অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের ঘন্টাব্যাপী চলা বিক্ষোভ কর্মসূচীতে বিভিন্ন সংগঠনের নেতারাও অংশ গ্রহণ করেন। এ সময় বক্তারা অবিলম্বে ধর্ষকদের মত্যুদন্ড নিশ্চিতের জোরালো দাবি জানান। পরে জেলা প্রশাসক কাজি আবদুর রহমান বিক্ষোভকারীদের সাথে একাত্বতা পোষনের পাশাপাশি নির্যাতন ও ধর্ষন প্রতিরোধে এলাকা ভিত্তিক সামাজিক সচেতনা বৃদ্ধিতে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা রাখার নির্দেশ দিয়ে সার্বিকভাবে সহযোগীতার আশ্বাস প্রদান করেন।
এতে শিক্ষার্থীবৃন্দের মাঝে বক্তব্য রাখেন, ছাত্র ইউনিয়নের মিঠুন শর্মা ও পার্থ প্রতিম সরকার, শিক্ষার্থীদের মধ্যে আব্দুস সামি নিকু, নাবিলা ইলসাম, তাজিম রহমান, নিবির, রাহিন, নাদিম প্রমুখ।
এর আগে বিক্ষোভ মিছিলটি নেত্রকোনা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে যাত্রা করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে।
অন্যদিকে বিক্ষোভ চলাকালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সাথে জেলা বারের সভাপতি এডভোকেট শিতাংসু বিকাশ আচার্য্যর ভুল বুঝাবুঝির ঘটনায় এক শিক্ষার্থীকে ধাক্কা ও পরে ঘাড় ধরে টানা-হেচড়া নেত্রকোনায় সতেচন শিক্ষাথীবৃন্দের বিক্ষোভ কর্মসূচী পালনকালে সকল শিক্ষার্থীর মাঝে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ও উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে বারের সভাপতি এডভোকেট শিতাংসু বিকাশ আচার্য্য প্রথমে সরাসরি না করে বলেন, এমন কিছুই ঘটেনি। ভিডিও রয়েছে বললে তিনি বলেন, তারা এমনভাবে বসেছে তাদের জন্য আইনজীবীরা কোর্টে যেতে পারছিলো না। তবে এ বিষয়টি জেলা প্রশাসকের অফিস কক্ষে তাৎক্ষনিক সমাধান হয়ে গেছে। পরে আমরাও তাদের সাথে একাত্মতা পোষণ করেছি। এ ব্যাপারে কিছু না লিখতে সাংবাদিকদের বিষয়টি মনে না রাখার জন্য অনুরোধ করেন।