কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : ওড়না প্যাঁচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে বুশরা আক্তার (১৩) নামে স্কুল শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে দিকে নেত্রকোনার সদর উপজেলায় পৌর শহরে মঈনপুর এলাকায় নিজ কক্ষে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। মৃত বুশরা সড়ক ও জনপথ বিভাগে কর্মরত চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী জসিম উদ্দিনের মেয়ে এবং নেত্রকোনা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে বুশরা একজন। বড় ভাই নেত্রকোনা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়ে। পারিবারে কারো সাথে ঝগড়া বিবাদও নেই বুশরার। তবে সে কারো সাথে কিছু বলত না। প্রায় সময় চুপচাপ থাকত।
মৃতের বাবা জসিম উদ্দিন জানান, সকালে অফিসে যাওয়ার সময় তারা একসাথে নাস্তা করেছেন। মেয়েকে ডিমভাজি করে ভাত দিলেও অল্প খেয়ে ওঠে পরে। বুশরা কয়েকদিন যাবত চুপচাপ থাকতে দেখা গেছে। কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে উত্তর দিত না। কিন্তু মাথাব্যথা হচ্ছিল জানায়। পরে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তার কক্ষের দরজা আটকানো থাকায় সন্দেহ হলে তার বড় ভাই দরজা ভেঙ্গে দেখে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ফ্যানের সাথে ঝুলছে বুশরা। এরপর দ্রুত নামিয়ে তাকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিসক মৃত ঘোষণা করেন।
নেত্রকোনা হাসপাতালের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডাক্তার নীপা সরকার ইসিজি করে নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি মো. তাজুল ইসলাম খান জানান, খবর পেয়ে নারী পুলিশ সহ ফোর্স পাঠিয়েছি। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে সে অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।