কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : এক মাস বয়সি বাছুর ক্ষেতে ধানের জালা খাওয়াকে কেন্দ্র করে ঢাবি’র শিক্ষার্থীকে রক্তাক্ত জমখ করেছে প্রতিবেশিরা। বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় পোগলা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে। ঢাবি’র শিক্ষার্থী কেয়া আক্তার কাকলী (২২) আতকাপাড়া গ্রামের মৃত আবু শ্যামার কন্যা।
আহত কাকলী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে থেকে বাংলা বিভাগের চতুর্থবর্ষে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী। করোনাকালে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় কাকলী নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
অভিযুক্তরা পার্শ্ববর্তী গোমাই বাজার এলাকার আব্দুল রাজ্জাক রাজুর দুই ছেলে আপেল মিয়া (২২), লাল চান মিয়া (২৮) এবং অভিযুক্তদের মা। এ ঘটনার পরে বিকেলেই লাল মিয়াকে আটক করার তথ্য নিশ্চিত করেছে কলামাকান্দা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শহিদুল ইসলাম।
ঢাবি’র শিক্ষার্থী কেয়া আক্তার কাকলী দেশ রূপান্তরকে জানান, পার্শ্ববর্তী গোমাই বাজার এলাকার অভিযুক্ত আপেল, লালচান ও তার মা আমাদের এক মাস বয়সি গরুর বাছুরটিকে মেরে অশ্লীল ভাষায় বকাবাদ্য করতে করতে বাড়িতে আসে। আমি তাদেরকে বলি এক মাসের বাছুর দুধ ছাড়া ধানের জালা খায় না। যদি ক্ষতি করে থাকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে দিব। গালাগালি করেন কেন।
এ কথা বলতেই আপেলের মা আমার হাত ধরে আর আপেল বাঁশ দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে আমার মাথা ফেটে থেকে রক্ত বের হতে থাকে। আর কালাচান আমার মাকে লাথি ও কি ঘুষি দিতে থাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় কয়েকজন আমাকে উদ্ধার করে প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে হাসপাতালে নিয়ে আসে। আমার মাথায় দু’টি সেলাই দেয়া হয়েছে।’
কলমাকান্দা হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোরাব হোসাইন লিংকন জানান, ‘কেয়াকে নিয়ে হাসপাতালে আসলে তার মাথায় দু’টি সেলাই দেয়া ও ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসা চলছে ও রোগীর অবস্থা এখন শঙ্কামুক্ত।’
এ ব্যাপারে কলমাকান্দা ওসি মো. মাজাহারুল করিম দেশ রূপান্তরকে জানান, ‘ঘটনার পরপরই বিকেলে লাল চানকে আটক করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফখরুজ্জামান স্যার সহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি জানান।’