কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : নেত্রকোনার কলমাকান্দায় গুমাই নদীতে রাজনগর এলাকায় বালুবাহী বাল্কহেড ও যাত্রীবাহী ট্রলারের সংঘর্ষে আরও এক শিশুসহ দুইজনের লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। এ নিয়ে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১২ জনে।
শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা দিকে সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার হলদি বিলে রতন মিয়া (৩৫) নামে এক যুবক ও দুপুর ২টার দিকে একই বিল থেকে মনিরা আক্তার পাঁচ বছরের এক শিশুর মরদেহ ভেসে উঠলে এলাকাবাসী উদ্ধার করেন। মৃত রতন সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগরের ইনাতপুর গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে ও শিশু মনিরা একই এলাকার আব্দুল ওয়াহাবের মেয়ে।
সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, রতন মিয়া ও মনিরা আক্তার নামে দুইজনের ভাসমান লাশ উদ্ধার করে নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার সকালে নিখোঁজদের উদ্ধার অভিযান নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সমাপ্তি ঘোষণা করার তথ্য নিশ্চিত করেন কলমাকান্দা উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম।
এদিকে এ ট্রলার ডুবির ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার বিকেলে আব্দুল ওয়াবের স্ত্রী ও এক ছেলে শিশু নিহত এবং তার এক কন্যা শিশু মনিরা নিখোঁজ থাকায় তিনি (আব্দুল ওয়াব) নিহতদের পক্ষে মামলার বাদী হন। ঘটনার পর থেকে যাত্রীবাহী ট্রলারের চালক সোহাগ পলাতক রয়েছে। ওইদিন (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৪টায় বাল্কহেডের চালকসহ পাঁচজনকে নেত্রকোনা আদালতে প্রেরণ করেন পুুলিশ। পরে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পেরণ করেন। কলমাকান্দা থানার ওসি মো. মাজাহারুল করিম এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য গত ৯ সেপ্টেম্বর সকালে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় গুমাই নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের সাথে সংঘর্ষে যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় পাঁচ শিশু ও পাঁচ নারী সহ ১০ জন নিহত হন। এ ঘটনায় একই পরিবারে এক শিশু নিখোঁজ সহ তিনজন ও আরেকটি পরিবারের দুই শিশু ও মা সহ তিনজন নিহত হয়েছেন। ঘটনার দিন এ ঘটনায় বাল্কহেড ও যাত্রীবাহী ট্রলার জব্দ ও বাল্কহেডের মাঝিসহ পাঁচজন আটক করে পুলিশ।