পূর্বময় ডেস্ক :
বাংলাদেশে ওষুধ ও হালকা প্রকৌশল খাতে বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রচুর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিয়োজিত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাটালি চুয়ার্ড। বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করারও প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। নভেম্বরে একটি বৈঠক করার ব্যাপারে সিদ্ধান্তও হয়েছে।
আজ রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির অফিসকক্ষে মন্ত্রীর সঙ্গে মতবিনিময়কালে একথা বলেন রাষ্ট্রদূত।
এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অংশীদার। উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রচুর সুযোগ রয়েছে, এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে, এগুলোর প্রায় অর্ধেকের কাজ সমাপ্তির পথে। এগুলোতে জাপান, ভারত, চীন, কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশ বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে এগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ বিনিয়োগকারীদের জন্য ট্যাক্সসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। বাংলাদেশ সুইজারলান্ডের জন্য লাভজনক বিনিয়োগস্থল হতে পারে। সুইজারল্যান্ডের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারী দল বাংলাদেশ সফর করলে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পরিবর্তনশীল বিশ^বাণিজ্য পরিস্থিতিতে চীন থেকে আমেরিকা, জাপানসহ অনেক দেশ তাদের শিল্পকলকারখানা রিলোকেশনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। দেশগুলো বাংলাদেশকে এখন বিনিয়োগের উপযুক্ত স্থান মনে করছে। বাংলাদেশ বিনিয়োগের আনুষ্ঠানিকতা সহজ ও দ্রুত করার পদক্ষেপ নিয়েছে। অতিসহজেই বাণিজ্য করার পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। বিনিয়োগের জন্য এখন বাংলাদেশ উপযুক্ত স্থান।
সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বলেন, সুইজারল্যান্ড বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অগ্রাধীকার দেয়। বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে সুইজারল্যান্ড প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে এবং বাণিজ্য সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। ফার্মাসিটিক্যাল এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রচুর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। উভয় দেশের মধ্যে একটি বৈঠক করার প্রস্তাব দিয়ে তিনি বলেন, এতে করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্র চিহ্যিত করা সহজ হবে। করোনা মোকাবেলা এবং করোনাকালে রপ্তানি বাণিজ্য অব্যাহত রাখার প্রশংসা করে তিনি বলেন, বৈদেশিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক সক্ষমতা অর্জন করেছে।
আগামী নভেম্বরে বাংলাদেশের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের বাণিজ্য বৃদ্ধি ও বিনিয়োগের লক্ষ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠানের বিষয়ে মতবিনিময় সভায় উভয়পক্ষ একমত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে সুইজারল্যান্ডে ১০৬ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন ডলার মূল্যমানের পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ। একই সময়ে আমদানি করেছে ২৭০ দশমিক ৬০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে রফতানি করেছে ১০৬ দশমিক ৮৭ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আর জুলাই-মার্চ সময়ে আমদানি করেছে ২৪৫ দশমিক ১৯ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য।