পূর্বময় ডেস্ক :
জঙ্গিবিরোধী অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে কয়েক ডজন নাগরিককে হত্যা করেছে নাইজারের সেনাবাহিনী। গতকাল এ অভিযোগ তুলেছে দেশটির মানবাধিকার কমিশন। মানবাধিকার কমিশন বলছে, নাইজারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় তিল্লাবেরিতে ছয়টি গণকবর আবিষ্কৃত হয়েছে যেখানে ৭০টিরও বেশি কঙ্কাল পাওয়া গেছে। চলতি বছরের শুরুতে সেনাবাহিনীর হাতে তারা নিহত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
মানবাধিকার কমিশনের এক তদন্তকারী বলছেন, ধারালো অস্ত্র ও ক্ষুদ্র আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ওই বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোও বলছে, বিভিন্ন জিহাদি গোষ্ঠী ও সাহেল অঞ্চলের কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী দমনে পরিচালিত অভিযানে নাইজার, মালি ও বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনী ডজনখানেক বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
নাইজারের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বলছে, ২৭ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পরিচালিত সেনা অভিযানের পর থেকে ১০২ জন বেসামরিক নাগরিক নিখোঁজ রয়েছে।প্যান-আফ্রিকান নেটওয়ার্ক ফর পিস, ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের প্রেসিডেন্ট আবদুলাই সেইদু বলেন, অবশ্যই নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিক হত্যা হয়েছে এবং আমাদের মিশন ছয়টি গণকবর থেকে ৭১টি কঙ্কাল পেয়েছে।
সেইদু আরো বলেন, নাইজারের ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি ফোর্সেসের (এফডিএস) হাতে যে তা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন তার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।
শীর্ষ পর্যায়ের সেনা কর্মকর্তারা এতে জড়িত কিনা এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে এ নিয়ে নাইজার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
খবর বিবিসি।