পূর্বময় ডেস্ক :
সময় যত গড়াচ্ছে মৃত্যুর সংখ্যাও তত বাড়ছে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে মসজিদে এসি বিস্ফোরণে দগ্ধ ১৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে সকালে মৃত্যুর বিষয় নিয়ে কথা বলেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল। তখন ১১ জন মারা যাওয়ার খবর দেওয়া হয়। পরে দুপুরে আরো তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় শিশু ও মুয়াজ্জিনসহ ১১ জনের মৃত্যুর সংবাদ দেন ডা. সামন্ত লাল সেন।তারা হলেন- রিফাত (১৮), মোস্তফা কামাল (৩৪), জুবায়ের (১৮), সাব্বির (২১), কুদ্দুস ব্যাপরী (৭২), হুমায়ুন কবির (৭০), ইব্রাহিম (৪৩), মোয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮), জুনায়েদ (১৭), জামাল (৪০) ও জুবায়ের (৭)। বাকি তিনজনের নাম এখনো জানা যায়নি।বার্ন ইনস্টিটিউটের সহকারী পরিচালক ডা. হুসেইন ইমাম জানান, দগ্ধদের সবারই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। সবারই কমপক্ষে ৩০ শতাংশের বেশি দগ্ধ হয়েছে।শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মোট ৩৭ জন রোগী ভর্তি করা হয়েছিলেন। আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শুক্রবার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাম জামে মসজিদে এশার নামাজের জামাত শেষে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে একাধিক এসির। মুহূর্তেই মসজিদের ভেতরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময়ে মসজিদে থাকা মুসল্লিদের গায়ে আগুনের ফুলকি গিয়ে পড়লে একে একে দগ্ধ হতে থাকেন তারা। মসজিদের ভেতর থেকে আসতে থাকে মুসল্লিদের আত্মচিৎকার।পরে আশেপাশের লোকজন গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। আহতদের প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে আনার পর তাদেরকে চিকিৎসার জন্য ঢাকার বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।ফায়ার সার্ভিস ধারণা করছে, গ্যাস পাইপলাইনের লিকেজের কারণে গ্যাস জমে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে।