কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : অবশেষে নেত্রকোনার মদন উপজেলায় উচিতপুরে ট্রলার ডুবির ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে মুখ খুলেছে জেলা প্রশাসন।
তাদের দাবি অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণে নয়, বাতাসে ট্রলারটি উল্টে ডুবে গিয়ে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে, স্থানীয়রা বলছেন, বাতাসে উল্টে গিয়ে নয়, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণে ট্রলারটি ডুবে গেছে।
রবিবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে দেশ রূপান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হাওরে ঘুরতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার ওই যাত্রীরা পর্যটক নন দাবি করে এডিএম বলেন, তারা সড়ক পথে এখানে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন এবং এমনিতেই তারা হাওর ঘুরতে বের হয়েছিলেন।
তিনি জানান, ট্রলারটি তলিয়ে গেলে বলা যেতো সেটি অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই ছিল। যেহেতু উল্টে গিয়েছে, সুতরাং বাতাসেই উল্টে গিয়েছে।
তিনি আরও জানান, নৌকাগুলো লোকাল মেইড। তাই ফিটনেস বা বিআইডব্লিউটিএ’র পরীক্ষা নিরীক্ষা নেই এসব নৌকার। নেত্রকোনা জেলা প্রশাসন নিহতদের প্রতিজনের লাশ দাফনের জন্য সাত হাজার এবং ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার করে টাকা প্রদান করা হয়েছে।
এডিএম মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দেশ রূপান্তরকে আরও জানান, এখন থেকে সকল সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। যেহেতু হাওর এলাকা সে জন্য নৌ-পুলিশের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উচিতপুর পর্যটন এলাকায় পরিণত হয়ে গেছে সেখানে একটি অত্যাধুনিক ছাউনির কাজ চলমান রয়েছে।
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, উচিতপুর ট্রলার ঘাটটি অঘোষিত পর্যটন এলাকা। হাজার হাজার মানুষ ঘুরতে আসে প্রায় প্রতিদিন। এসেই নৌকা করে ভ্রমণে আনন্দ পায় আগতরা। কিন্তু সেখানে নেই প্রশাসনের কোন নজরদারি। যত্রতত্র নিয়ম না মেনেই অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ে কারণে ঘটনাটি ঘটেছে। তেমনি নৌকায় ছিল না কোন সুরক্ষা সামগ্রীও। এমনকি নৌকাটিকে উল্টানো নয়, তলিয়ে থাকা অবস্থাতেই পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা উল্টো দেখতে পায়নি।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ৪৮ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে ১৮ জনের মৃত্যু হয়।